বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চার দফা যানাজার পর গতকাল সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে শায়ীত হলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। প্রত্যেকটি যানাজার নামাজে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। এতে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, এমপি ডাক্তার মুনসুর রহমান, ডাক্তার শিমুল এমপি, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পয্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর উপশহরস্থ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন রাজশাহীর এই প্রবীন রাজনীতিক। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
তিনি ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত পুঠিয়া দুর্গাপুরে এমপি ছিলেন। গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি তিনি। তবে দুর্গাপুর-পুঠিয়াজুড়ে বিপুল নেতাকর্মী ও সমর্থক তাজুল ইসলামের অনুসারী রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছী গ্রামে। তিনি ১৯৯১ সালের আগে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন।
এছাড়াও তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ২০০১ সালের আগে। এরপর তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ দলটিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
সকাল ১০টায় রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া স্টেডিয়ামে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পুঠিয়া উপজেলায় যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জুম্মা দূর্গাপুরে আরেক দফা যানাজা হয়। তার গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার সাহার বানু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাজুল ইসলাম ফারুকের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।