বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আইনের শাসনের ওপর নির্ভর করে আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আমি আগেও বিশ্বাস করতাম না, এখনো বিশ্বাস করি না। একমাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে, রাজপথকে উত্তপ্ত করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এই ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এড. খন্দকার মাহবুব বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষের ওপর ভরসা করে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে গেছি। এটি কতটা ঠিক হয়েছে নাকি ভুল হয়েছে এটা একদিন ইতিহাস বিচার করবে। কিন্তু আমাদের এখন একমাত্র ইস্যু হওয়া উচিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই ইস্যুতেই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র ও প্রহসনের নির্বাচন সবকিছুই বলা হবে, কিন্তু সবার আগে থাকবে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন। রাজপথ উত্তপ্ত করে তার মুক্তির ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। কারণ বেগম জিয়াকে কোন রাজনৈতিক মামলার কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। এজন্যই বলছি আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। যেভাবে তাকে বন্দি রাখা হয়েছে, তার জামিনের বিরোধীতা করছে তাতে সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে মুক্ত করা যাবে না। দল ও জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা একটি মাত্র ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করুন, সেটা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি।
শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির এই আইনজীবী নেতা বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয়নি। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে বঞ্চিত করে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, এ সরকারকেও সরে যেতে হবে। কারণ এই সরকার সরকার প্রতারণা করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। অতীতে বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন, আইন করে একদল করেছিলেন। এবার শেখ হাসিনা প্রহসনের ভোটের দ্বারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছেন। এ সরকার বেশি দিন টিকবে না। শিগগিরই নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ অনেক আশা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে ভোট দিতে গিয়েছিল। তবে তা (ভোট দেওয়া) থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। আর আজকে সেই দলকেই আপনারা (সরকার) চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এর চেয়ে বড় পরিহাস আর হতে পারে না।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নাগরিক আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম। নাগরিক প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।