রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক কিছুই। তেমনই হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ খেলাধুলাও। অনুরূপভাবেই ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধূলা আজ বিলুপ্তির পথে।
এখানকার অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল হাডুডু, ফুটবল, হেন্ডবল,কানামাছি, দড়য়াবান্দা, লুডু, কাবাডি ইত্যাদি খেলা কালের বিবর্তণে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
অথচ মাত্র ৫-৭ বছর আগেও প্রতিটি গ্রামের স্কুল মাঠ এমনকি ধান কাটার পর খালি মাঠে এবং বাড়ীর পাশের খালি জায়গায় পর্যন্ত চলতো বিশেষ করে ফুটবল এবং হাডুডু খেলার তীব্র প্রতিযোগিতা। এ সব খেলায় স্বর্ণ-রোপ্য দিয়ে তৈরি কাপ এমনকি গরু পর্যন্ত উপহার দেয়া হতো। কতোই না মজা হতো যখন এক গ্রামের সাথে অন্য গ্রাম, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন কি বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো। গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার উৎসুক জনতা এ সব প্রতিযোগীতা দেখে কতই না আনন্দ উপভোগ করতেন। শুধু যে গ্রামে তা কিন্তুু নয়, শহরের ছোট ছোট ছেলেরাও ফুটবল এবং হাডুডু খেলার প্রতিযোগিতায় অঙ্কগ্রহন করতো। এ সব খেলায় দূর-দূরান্ত থেকে ভাল ভাল খেলোয়ারকে আনা হতো পক্ষে খেলে দেয়ার জন্য যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘হায়ার’ বলা হয়। যাদেরকে খেলার জন্য হায়ারে আনা হতো তাদের খাওয়ানো হতো জামাই আদরে এবং দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা উপঢৌকন। অনুরূপ খেলা ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু। বর্তমান এই যুগে যার স্থান দখল করে নিয়েছে বলতে গেলে ক্রিকেট খেলা। এ সব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে মনে হবে রূপকথার গল্পের মতো। সে সময়তো স্কুল-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে এসে নিয়মিত বিকালে বাড়ীর পার্শ্বে মাঠে, বাড়ীর উঠানে এ সব খেলা খেলতো। আজ আর সেই দিন নেই ! নেই আগের সে সব গ্রামীণ খেলাধূলা। তবে এখন ও কিছু কিছু ফুটবল, হাডুডু এবং ক্রিকেট খেলা চোখে পড়ে। তাও কালেভদ্রে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।