Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিরাজদিখানে আলুর বাম্পার ফলনেও হাসি নেই

সিরাজদিখান থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সিরাজদিখানে আলুর বাম্পার ফলন হওয়া সত্বেও নতুন মূল্য নিয়ে আবারও আশঙ্কায় রয়েছে কৃষক। এখনও উপজেলার তিনটি হিমাগারে প্রায় ৪শ টন আলু মজুত রয়েছে। আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার আলু চাষী। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। গত ৪ বছর ধরে আলুর দাম কম হওয়াতে এ অঞ্চলের বেশীরভাগ কৃষকেরই লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেকে আবার আলুতে লোকসান হাওয়ায় আলু চাষ ছেড়ে দিয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আলু উৎপাদন হয় ১ কোটি ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। যা আলুর চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ৩০ থেকে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন বেশী হচ্ছে।

চাষীরা মনে করেন চাহিদার তুলনায় আলু উৎপাদন বেশী হওয়ার কারনেই প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এমনকি অন্যান্য জেলার কমখরচে চাষকৃত আলু এ অঞ্চলে এনে বিক্রি করার কারণে এখানকার চাষীরা লাভের মুখ দেখতে পান না। এ বছর থেকে আলু হিমাগার করণের বস্তা বড় থেকে ছোট করার কারণে খরচের পরিমাণ আরো বারবে। এতে করে অন্যান্য খরচ ছাড়াও অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে তাদের।
এ উপজেলায় অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে আলু বীজ রোপণ করেন কৃষকরা। তবে আলু তোলা হবে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের শেষ দিকে। এ বছর সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ হাজার ২ শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। গত বছর ছিল ৯ হাজার ৪ শ ৫০ হেক্টর। প্রতিবছর আলুচাষীরা লোকসানের কবলে পড়ার কারনে আলু চাষের প্রতি তাদের অনীহা দিন দিন বেড়েই চলছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার আলুর বাম্বার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে জমিতে বর্ষার পানি কম সময় থাকায় গত বছরের মতই এবছর শেষের দিকে পোকার আক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে গত বছর অসময় বৃষ্টির কারনে আলু রোপন করা দেরী হলেও এবছর তার পুনরা বৃত্তি হয়নি।

উপজেলার রামানন্দ গ্রামের চাষী মাইনদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৩৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এবছর ফলন ভাল হলেও গত ৪ বছর যাবত লাভের মুখ দেখছি না। এ বছর বড় বস্তা থেকে ছোট বস্তা করার কারনে গাড়ি, শ্রমিক ও হিমাগারের ভাড়ার খরচ আরো বাড়বে। তবে এবছর আলুর ভালো দাম না পেলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি আমাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে আলু কিনে নিত তাহলে লোকসান হতনা।

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, ‘মাটি ও জলবায়ু অনুকূলে থাকায় এ বছর সিরাজদিখানে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলুর ফলন হবে বলে ধারনা করছি। তবে আমাদের কৃষি বিভাগ আশা করছে এবার আলু চাষীরা ভালো দামও পাবেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ