পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো। সরকারে স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নসহ জনগণকে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়াদী প্রচার করা এবং দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে সুস্থ্য জীবন যাপনে সহায়তা করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। স্বাস্থ্য খাতের বার্ষিক বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় এসব প্রচার কাজে। তাই এ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই গুরুত্বপূর্ন পদে বিধিবর্হিভ‚তভাবে একজনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন বিধিবিধান বা কোন আইনে স্বাস্থ্য সহকারী হতে জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার হওয়ার সুযোগ না থাকলেও মো. আব্দুল আজিজকে ২০০২ সালের ২৮ জুলাই জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার হিসাবে পাবনা জেলায় পদায়ন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ২০০৯ সালে ১৪ মে সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার হিসাবে পুনরায় পাবনা সিভিল সার্জন অফিসে পদায়ন লাভ করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মো. আব্দুল আজিজ স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর উপ-প্রধান (প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ) (চ. দা.) ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পান।
এখানেই শেষ নয়, নিয়মনীতি না মেনে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর মো. আব্দুল আজিজকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোতে চলতি দায়িত্ব প্রদানসহ লাইন ডাইরেক্টর, লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন ও প্রমোশন হিসাবে পদায়ন করে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিগত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘানিষ্ট একজনের ব্যক্তি স্বার্থ চারিতার্থে মো. আব্দুল আজিজকে এ পদে বসানো হয়। পাশপাশি এ পদের জন্য যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়। মো. আব্দুল আজিজ এ পদে বসেই ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ হাসিলে মনোনিবেশ করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য সহকারী মো. আব্দুল আজিজকে-কে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রধানের দায়িত্ব প্রদানে আপত্তি করেন। ওই সময়ে তিনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তৎকালীন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে এ দায়িত্ব প্রদানে তিনি বাধ্য হন। তবে এই পদায়ন নিয়ে বড় অঙ্কের বাণিজ্য হয় বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও এই বাণিজ্য সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম করেননি। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের একজন মোটা অঙ্কের বিনিময়ে মো. আব্দুল আজিজকে এই পদে বসান। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদও চেয়েছেন আব্দুল আজিজকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হোক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন মো. আব্দুল আজিজ। বেনামে ট্রেড লাইসেন্স করে অবৈধ ব্যবসার মাধমে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এমনকি স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর দরপত্রে নিজস্ব সিন্ডিকেটের পছন্দের ঠিকাদারদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জানান, রহস্যজনকভাবে মো. আব্দুল আজিজকে অফিস সহকারী থেকে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যদিও তিনি এ পদের যোগ্য নন। আর সে কারণেই পরিচালক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোতে এর আগেও নিয়োগ বিধিবর্হিভূতভাবে পরিচালক পদে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারের কোন আইন ও বিধিবিধান।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আব্দুল আজিজ ইনকিলাবকে বলেন, আমি ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগদান করি। নিজ বেতনে আসি, পরে পাবলিক সার্ভিস কমিশন আমাদেরকে নিয়মিতকরণ করে। ১৯৮৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদেরকে স্থায়ী করে। এরপর ১০ বছর পরে জুনিয়র স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে নিয়মিতকরণ করে। একটি চক্র আমার পিছনে লেগেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।