Inqilab Logo

বুধবার, ১২ জুন ২০২৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুষ্ঠু নির্বাচনের সার্টিফিকেট পেতে বেতন দেয়া উচিত

সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক মাস পর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নামের একটি এনজিও। গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৬টি এনজিও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত এই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটি বলেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর, আনন্দঘন পরিবেশে হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য তুলে ধরে স্থানীয়/জাতীয় পর্যায়ের ৫৬টি এনজিও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা। তাদের দাবি, সুন্দর নির্বাচন হয়েছে এই সার্টিফিকেট দেয়ায় নির্বাচন কমিশনের উচিত পর্যবেক্ষকদের জন্য নিমমিত বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা। এতে করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক অর্থ খরচ করে বিদেশীদের কাছে থেকে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ ফরমায়েশি প্রতিবেদন নেয়ার প্রয়োজন হবে না।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম বলেছে, নির্বাচনে সারা দেশের ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৩৯টি আসনে ১৭ হাজার ১৬৫টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সুপারিশ করে বলা হয়, আগামী সব নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম সম্মানী ভাতা বা বেতন-ভাতা দেয়া উচিত। এর ফলে বিদেশি সংস্থার অর্থের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ফরমায়েশি প্রতিবেদন থেকে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বিরত থাকবে।
ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা মো. আবেদ আলী প্রতিবেদন পাঠ করে বলেন, সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ, সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্থার পর্যবেক্ষকদের মতে, যেসব কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, সেখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক এবং কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি চোখে পড়েনি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন শেষ করায় আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন সার্ক হিউমেন রাইটস ফাউন্ডেশনের পক্ষে সর্বমোট ৮জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন এবং তারা নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলেও তিনি জানান। প্রার্থীদের আচরণের বিষয়ে আবেদ আলী বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারসহ সার্বিকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ পরিলক্ষিত হয়। তবে কিছু সংসদীয় আসনের প্রার্থী মামলার অজুহাতে প্রশাসনের হয়রানির শিকার হয়েছেন, যা অনাকাঙ্খিত। নির্বাচন কমিশন উল্লেখিত বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচন কাজে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সার্বিকভাবে কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন এবং পর্যবেক্ষণে ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি করেননি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেতন

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ