পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবারের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতবছর যে পদ্ধতিটা অনুসরণ করা হয়েছিল সেই পদ্ধতি কার্যকর হয়েছিল এবং গত বছর কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এ বছর আমরা সেই পদ্ধতিটিকে আরও জোরদার করেছি। কাজেই আমরা আশা করছি যে, এ বছর কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের যে কথা বলা হয় তা অনেক সময়ই মিথ্যা হিসেবে পাওয়া যায়। কারণ প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ আসে তার ৮০ ভাগই গুজবের ওপর। তবে যে ২০ ভাগ সত্য হয়েছে সেটাও আমরা বন্ধ করতে চাই। প্রশ্নফাঁস বন্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রটায় সেই গুজবে কান দিবেন না। কোনো অভিভাবক কোনো পরীক্ষার্থী কেউ সেদিকে ছুটবেন না। তাহলেই প্রশ্নফাঁস পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্নফাঁস রোধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। আর বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। যদি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ব্যবস্থা না নেয়, সেক্ষেত্রে গভর্নিং বডি ভেঙে দেওয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন মোবাইল নম্বরে একই অংকের একাধিক টাকা লেনদেন হলেও তাদের ওপর নজরদারি রাখা হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে দীপু মনি আরও জানান, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। সচিব এমন একটি মোবাইল ব্যবহার করবেন যেটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না এবং ছবি তোলা যায় না (ফিচার ফোন)।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এরমধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র। দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসবেন। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৪৩৪ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। এছাড়া অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবেন বলেও জানান দীপু মনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।