Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি জমি সুরক্ষায় অবিলম্বে আইন প্রণয়ন জরুরি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:১১ এএম

কৃষি জমি যথেচ্ছ ব্যবহার রোধের জন্য আইন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আইন হলে এর প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি জমি সুরক্ষা করা সম্ভব। ‘কৃষি জমি সুরক্ষা: সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় গতকাল বক্তারা এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (এএলআরডি) উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় এএলআরডি-র চেয়ারপার্সন ও নিজেরা করি সমন্বয়কারী খুশী কবির সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আয়োজক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালে প্রথম কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার, কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর পার হয়ে গেলেও আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করতে পারেনি। আইনের প্রস্তাবিত খসড়ার নামে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যে খসড়া ২০১৬ সালে প্রকাশ করা হয়েছে সেটিতে কৃষিজমি সুরক্ষায় কঠোরতা আরোপের পরিবর্তে নমনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক বলেন, কৃষিজমি যথেচ্ছ ব্যবহার রোধের জন্য আইন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আইন হলে এর প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষিজমি সুরক্ষা করা সম্ভব।
শতকরা ৬০ ভাগ প্রান্তিক কৃষকের নিজস্ব কৃষিজমি নেই উল্লেখ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ভূমি সংস্কারের অংশ হিসেবে ল্যান্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে কৃষিজমির মালিকানা ও হস্তান্তরের ক্ষমতা প্রকৃত কৃষকের কাছে দিতে হবে এতে করে কৃষি ও ফসলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।
সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, শহরের জমির মালিকানার জন্য সিলিং নির্ধারণ করতে হবে এবং বাগান বাড়ি তৈরি বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম বলেন, ভূমিদখলের পেছনে বৈশি^ক রাজনীতির একটি প্রভাব রয়েছে।
খাস কৃষিজমিকে সরকার যাতে অন্য খাতে ব্যবহার না করে ভূমিহীন কৃষককে বন্দোবস্ত দেয় তার জন্য খাসজমি উদ্ধার ও বন্দোবস্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানান ইনসিডিন বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক একেএম মাসুদ আলী।
বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে মূল ভূমিকা পালনকারী গামেন্টস কর্মী ও প্রবাসী শ্রমিকরা কৃষক পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশন সদস্য ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, কৃষক পরিবারের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কৃষিজমির সুরক্ষা অপরিহার্য।
খুশী কবির বলেন, কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে কৃষকসহ সবার মতামত নেয়া ও আইনে তার যথাযথ প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে ।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আদিবাসী কালচারাল ডেভলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান অজয় এ মৃ, রিইবের গবেষক সুরাইয়া বেগম, এমডিএস নরসিংদীর নির্বাহী পরিচালক ফাহিমা খানমসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কুষক সংগঠনের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী এবং নাগরিক প্রতিনিধিবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ