Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইস্যু হচ্ছে কাতার গমনেচ্ছু কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র

শামসুল ইসলাম : | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে কর্মী নিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। কাতারের নিয়োগকর্তারা কর্মী নিয়োগে যোগ্য কিনা তা’যাচাই-বাছাই করে নিয়োগানুমতি দিতে সুপারিশ করছে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। এর আগে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে দূতাবাস থেকে শ্রম সচিবের সত্যায়ন ছাড়াই ভিসা ইস্যু হতো। গত বছরের শেষের দিকে বিএমইটি কর্তৃপক্ষ কাতারে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্রে দূতাবাসের সত্যায়ন না থাকায় বর্হিগমন ছাড়পত্র দেয়া বন্ধ করে দেয়। এতে কাতার গমনেচ্ছু কর্মীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন। ছাড়পত্র ইস্যুতে কড়াকড়ি শর্তারোপ করায় ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীরা বিমান বন্দর দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে কাতার চলে যাচ্ছে দেদারসে।

সূত্র মতে, গত ১ জানুয়ারী থেকে ২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত ৬ হাজার ৯ শ ২৬ জন কর্মী কাতারের বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকুরি লাভ করেছে। উল্লেখিত সময়ে সউদী আরবে গেছে ২৫ হাজার ৭শ ৯০ জন মহিলা-পুরুষ কর্মী। আর ওমানে গেছে ৭ হাজার ২শ’ ৬২ জন কর্মী। এ সময়ে বিভিন্ন দেশে কর্মী গেছে ৫১ হাজার ১শ ৩০ জন কর্মী। গত ৩ জানুয়ারী বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ এমপি এক চিঠিতে প্রবাসী সচিব রৌনক জাহানকে জানান, কাতারের অনেক ভিসা কর্মীরা তাদের নিজেদের নামে সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্ত বিএমইটি থেকে সত্যায়ন ছাড়া কোনো বর্হিগমন ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। যে সকল কর্মী বৈধ ভিসা সংগ্রহ করছেন যাহা অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে দূতাবাসের সত্যায়নের কোনো প্রয়োজন নেই। বায়রার ঐ চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীরা বিএমইটি থেকে বর্হিগমন ছাড়াপত্র না পাওয়ায় বিমান বন্দর দিয়ে অধিক ঘুষের বিনিময়ে কাতার চালে যাচ্ছে। এতে কাতার গমনেচ্ছু কর্মীদের নিবন্ধন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া সরকারও প্রচুর রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান রাতে ইনকিলাবকে বলেন, কাতার একটি বৃহৎ শ্রমবাজার এ বাজার । দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বর্তমানে কাতারের কোম্পানীগুলো অভিবাসী কর্মী নিয়োগের ক্ষমতা রাখে কি না তা’ যাচাই-বাছাই করে বিএমইটিকে বর্হিগমন ছাড়পত্র দিতে পরামর্শ দিচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ