Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে ১৩ দিনেও চালু হয়নি ফেরি চলাচল

রাজবাড়ী থেকে মো. নজরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া ও পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ১৩ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পরেছেন হাজারো যাত্রী।

জানা যায়, দক্ষিনাঞ্চলের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুট। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ও রাজশাহীর কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হয়। পারাপার করা হয় যাত্রীবাহি বাস, এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারনে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ঘাটটি। আর এতেই বাড়ছে ভোগান্তি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ী কার্যালয়ের তথ্যমতে, ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুট তারাই তত্ত¡াবধান করে থাকেন। এই রুটে চলাচল করে ২টি ফেরি, ২টি লঞ্চ ও ১০টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। এই সব নৌযান দিয়ে প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে পাবনা ও সিরাজগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলার ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ পারাপার করা হয়।

গতকাল সকালে সরেজমিনে জৌকুড়া বাজার ও ধাওয়াপারা ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় রয়েছে পার হতে আসা মানুষের ভীর। কেউ কেউ আবার তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাগ লাগেজ মাথায় করে প্রায় আধা কিলোমিটার পায়ে হেটে ট্রলারে ওঠতে যাচ্ছে।
এ সময় বরিশাল সদরের বাসিন্দা মো. খায়রুল আলম বলেন, আমি পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তাই মাঝে মধ্যেই এ পথে আসতে হয়, এবার একটু মালামাল বেশী হওয়ায় অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়েছি। ফেরি বন্ধ আমি জানতাম না, কতক্ষণে পার হবো জানি না। তবে ট্রলারে পার হতে হবে। একদিকে রাস্তা খারাপ অপরদিকে ফেরি বন্ধ, বুঝতেই পারছেন আমাদের অপেক্ষার যন্ত্রনা কতটা ভয়াবহ।
অপর এক যাত্রী মো. কাউছার গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা তিনি বলেন, ব্যবসার প্রয়োজনে পাবনায় যাচ্ছি, প্রায় এক ঘন্টা বসে আছি। ট্রলার কখন ছাড়বে আমার জানা নেই। তবে মানুষে মানুষে যখন পরিপূর্ন হবে তখনই ট্রলার ছেড়ে যায়।

স্থানীয় মুদি দোকানদার মো. আমিন মোল্লা জানান, আজ ১৩ দিন ধরে এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে, যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে, যে কারনে আমাদের ধার-দেনা করে সংসারের খরচ চালাতে হচ্ছে। ঘাট যাদের মেরামত করার কথা তারা একের পর এক সময় বাড়াচ্ছে, কবে নাগাদ এ ঘাট সচল হবে জানি না।
পাবনা জেলার বাসিন্দা ও বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র মাহিন বলেন, এ নদীতে সারা বছর ধরেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেন বালু ব্যাবসায়ীরা তারপরেও নাব্যতা সংকটে পরে দিনের পর দিন ফেরি বন্ধ থাকা ও যাত্রী ভোগান্তি দুখজনক, কতৃপক্ষের উদাসিনতাই এ ভোগান্তির মূল কারণ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ীর প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় পল্টুনে ফেরি আসতে পারছে না। তাছাড়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নাব্য সংকট তীব্র হওয়ায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি জানিয়ে আমরা সাময়িক অসুবিধার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আগামী ২ তারিখের মধ্যে ঘাটটি সচল হবে আশা করছি। আপাতত ক্রেন দিয়ে টেনে পল্টুন নীচে নামানোর চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ