Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে চাঞ্চল্যকর ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নববধূ শরীফা আক্তার পুতুলকে (২১) হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত শরীফা আক্তার পুতুল জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের মো. আবু দাউদের মেয়ে এবং ঢাকা ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
দণ্ডিত স্বামী শিকদার শিকদার মাহমুদুল আলম (৩৫) একই গ্রামের প্রয়াত শিকদার সামছুল আলমের ছেলে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
এই ঘটনার পর ঢাকা ইডেন কলেজের সহপাঠীরা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন সংগঠন হত্যাকারী স্বামী মাহমুদুল আলমের বিচারের দাবীতে নানা কর্মসূচি পালন করে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলী শেখ মোহম্মদ আলী মামলার বরাত দিয়ে বলেন, শরীফার বড় বোন সাগরিকা মাহমুদের বড় ভাই শাইকুলের স্ত্রী। আত্মীয়তার সূত্রধরে ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা আক্তারের সাথে মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ঘটনার প্রায় ছয় মাস আগে শরীফা ও মাহমুদ গোপনে বিয়ে করেন। পরে ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের তিনদিন পর ১৩ মে রাত দুইটার দিকে মাহমুদ ঘরে ঘুমাতে এসে তার নববিবাহিতা স্ত্রী শরীফার মুঠোফোনে অশ্লীল ক্ষুদেবার্তা দেখে ক্ষুব্ধ হন। পরে শরীফার অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া প্রেম রয়েছে এই অজুহাতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফাকে ঘরে থাকা দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। হত্যার পর রাতেই মাহমুদ কীটনাশক পান করে মোল্লাহাট থানায় গিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তালাবন্ধ ঘরের ভেতর থেকে শরীফার বিবস্ত্র জবাই করা লাশ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন ১৪ মে নিহত শরীফার বাবা মো. আবু দাউদ বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় জামাতা মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ন.ম খায়রুল আনাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ নভেম্বর মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক ১৪ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মো. আবু দাউদ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুনী মাহমুদুল আলমকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তার মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করতে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ