Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নাম পাল্টে ভাইকে সাজা খাটানোর দায়ে কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নাম পাল্টে নিজের অপরাধের সাজা চাচাত ভাইকে খাটানোর দায়ে একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এই আদেশ দিয়েছেন। দন্ডিত স্বপন দাশ জেলার সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর বামনডেঙ্গা গ্রামের দেবেন্দ্র জলদাশের ছেলে। অপরাধ না করে সাজা খাটা অমর দাশ তার আপন চাচাতো ভাই। তিনি একই গ্রামের রেবতী জলদাশের ছেলে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সালের আগস্টে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের পর স্বপনসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। স্বপন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাদের ডাকাত হিসেবে উল্লেখ করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় গ্রেফতারের তিন বছর পর ২০০৭ সালে জামিনে বের হন স্বপন। কিন্তু মামলা দায়েরের সময় স্বপনকে যখন তার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন সে অমর দাশ বলে জানিয়েছিল। এর ফলে দু’টি মামলার এজাহারে তার নাম উল্লেখ ছিল ‘অমর দাশ’।

২০১৭ সালে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর এবং বিস্ফোরক আইনে ৫ বছরসহ মোট ২২ বছরের সাজা হয় স্বপনসহ (অমর) আসামিদের। এজাহারে স্বপনের (অমর) ঠিকানা লেখা ছিল সদরঘাট থানা এলাকায়। সেই হিসেবে জামিনে বেরিয়ে পলাতক স্বপনের সাজা পরোয়ানা যায় সদরঘাট থানায়। গত বছরের ৫ জুলাই সদরঘাট থানা পুলিশ সাজা পরোয়ানামূলে অমরকে গ্রেফতার করে। এ সময় সে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। গত ২৩ আগস্ট স্বপনকে গ্রেফতার করে সদরঘাট থানা পুলিশ।
এরপর কারাবন্দি অমর পুলিশের সহযোগিতায় হাইকোর্টে রিট করেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ অমরকে সাজার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেন। আইনি লড়াই শেষে ১১ নভেম্বর অমর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। পুলিশ স্বপনের বিরুদ্ধে নগরীর ডবলমুরিং থানায় নিরপরাধ অমরকে ফাঁসানোর অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল ও অভিযোগ গঠনের পর ৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এই রায় দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ