Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জাতীয় নির্বাচনের পরে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অভ্যন্তরে নানামুখী তৎপড়তা শুরু হয়েছে। তবে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার ঘোষণায় স্বস্তি লাভ করেছে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও।

জানা গেছে, গত ৩০ডিসেম্বর নির্বাচনের আগের পনের দিনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ২১টি নির্বাচনী এলাকায় অনন্ত দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের অনেকেই এখনো ছাড়া পায়নি। ঘর ছাড়া হয়েছে আরো কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী। ফলে জাতীয় নির্বাচনের সে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোলার আগেই আরেকটি নির্বাচনে বিরূপ পরিস্থিতি নিয়ে শংকা রয়েছে জনমনেও।

মার্চের প্রথমভাগ থেকে কয়েকটি ধাপে যে উপজেলা নির্বাচনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তাতে বরিশাল বিভাগের ৪২টি উপজেলাতেও ভোট গ্রহণ করার কথা রয়েছে। আসন্ন এ উপজেলা নির্বাচনে দক্ষিণাঞ্চলের ৬২ লাখ ৩০ হাজার ভোটারের মধ্যে ১টি সিটি করপোরেশন ও ১১টি পৌরসভা বাদে প্রায় ৪৫লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা। কিন্তু নিকট অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টি নিয়ে জনমনে তেমন কোন আলোচনা নেই এখনো।

অন্যদিকে, নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন লাভের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এলক্ষ্যে অনেক প্রার্থীই সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের এমপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তাদের সুনজরে থাকার চেষ্টা করেছেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এমনকি অনেক উপজেলা চেয়ারম্যানই ইতোমধ্যে নির্বাচিত এমপিদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেও সম্পর্ক মজবুত রাখার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ‘মহাজোট বা তার মূল শরিক দলের মনোনয়ন লাভ করলেই উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা তাদের জন্য নিশ্চিত’ বলেও মনে করছেন বেশীরভাগ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আর এঅবস্থাতেই সা¤প্রতিক বরিশাল সিটি নির্বাচন ও সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট-এর মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তকে মনেপ্রানে স্বাগত জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতৃবৃন্দই জানিয়েছেন, ‘স¤প্রতিককালে বহুল আলোচিত দুটি নির্বাচনে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীরা যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তাতে এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে না যাবার সিদ্ধান্তই সঠিক। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এধরনের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন ছিল’ বলেও তারা মনে করেন তারা। তাদের মতে, ‘ঐ দুটি নির্বাচনে কর্মীদের চেয়েও আইনÑশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাÑকর্মচারী মহাজোটের পক্ষে অতিমাত্রায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে’।

তবে মহাজোটের মূল শরিক আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতে, ‘কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, সেটা তাদের বিষয়। এনিয়ে মহাজোটের কোন কিছু করার নেই। আমরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নীতিমালার আলোকে দলীয় ফোরামে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেব। গনতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে জনগনের সাথে আছে বলেও জানান দলীয় নেতৃবৃন্দ’।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ