Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হলি আর্টিজানে হামলার টাকা

আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

হলি আর্টিজান রেস্তোরায় চাঞ্চল্যকর হামলার জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। হলি আর্টিজান হামলার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল শরিফুলের নেতৃত্বে অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামি মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ (২৭) র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গতল শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল-মহিপুর সড়ক থেকে শরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামা’য়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যয়নরত অবস্থায় শরিফুল সহপাঠী শোভনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তিনি হলি আর্টিজান হামলার চার্জশিটভুক্ত শেষ আসামি। আত্মগোপনে থেকে তিনি আবারও জঙ্গিদের সংগঠিত করার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। তবে তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে জঙ্গিদের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, শরিফুল তার আমিরের নির্দেশে রাবির অধ্যাপককে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যান। এর তিনমাস পর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা করে আবারও সুকৌশলে আত্মগোপন করেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে পুনরায় প্রকাশ্যে এসে জঙ্গিদের সুসংগঠিত করার চেষ্টা করেন শরিফুল। এবারে উদ্দেশ্য ছিল দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। কিন্তু তার সব পরিকল্পনা র‌্যাব একে একে ভেস্তে দিতে থাকলে আবারও আত্মগোপনের পথ বেছে নেন তিনি। অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় হলি আর্টিজান হামলার উদ্দেশে শরিফুল ও গত সপ্তাহে গ্রেফতারকৃত আরেক জঙ্গি নেতা রিপন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে। সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় ৫ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ