Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বুড়িগঙ্গায় ডুবে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকার বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জ থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে শুক্রবার দু’জনের লাশ ও গতকাল আরও দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে শুক্রবার রাতে রোজিনা পারভিন (৪৫) ও তার জা মমতাজ বেগম (৫০) এবং গতকাল সকালে রোজিনার স্বামী মতিউর রহমান (৫২) ও দুপুরে একমাত্র শিশুপুত্র তামিমের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নৌকার মাঝি ও মৃত মমতাজের ছেলে আকাশ (২০) সাতরে কূলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। মৃতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত রোজিনার ভাই বাবু বলেন, তার বোন জামাইর কালিগঞ্জ হাজী মজিবর রহমান মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাতে তার বোন, বোন জামাই মতিউর, ভাগ্নে তামিম, বোনের জা মমতাজ ও মমতাজের ছেলে আকাশকে নিয়ে একটি খেয়া নৌকায় করে গেন্ডারিয়ায় মতিউরের বড় ভাই ফিরোজ মিয়ার বাসার দিকে রওয়ানা হন। নৌকাটি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছালে পল্টুনে থাকা ‘এমভি মানিক-৩’ নামের একটি লঞ্চ হঠাৎ করে পেছনের দিকে যাওয়ার সময় তাদের নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সাথে সাথে নৌকাটি নদীতে ডুবে গেলে চারজনই পানিতে তলিয়ে যায়। তবে নৌকার মাঝি ও মমতাজের ছেলে আকাশ সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার পর উপস্থিত মাঝিরা তাৎক্ষণিক উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে রাত ১২টার দিকে রোজিনা ও মমতাজকে এবং গতকাল সকাল ৮টার দিকে মতিউর ও দুপুর ২টার দিকে মতিউরের ছেলে তামিমের লাশ উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরেরর কর্মকর্তা শাজাহান আলী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে দু’জনের লাশ ও গতকাল দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা ঘাতক লঞ্চটিকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বলেন, একসাথে চারজনের মৃত্যুতে ভুক্তভোগী পরিবারটিতে এখন শোকের মাতম চলছে। যার কারণে গতকাল বিকেল পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। তিনি বলেন, পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ