পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান কথার কথা বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ডাক দিয়েছেন, সেটাকে মানুষ তো মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা যে বিষয়টা নির্বাচনের সময় দেখিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে যে সংলাপ হলো তখন তিনি যে কথাগুলো দিয়েছিলেন, সেই কথাও উনি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখতে পারেননি। অর্থাৎ রাখেননি। তিনি বলেছেন, গ্রেফতার হবে না, নতুন কোনো মামলা হবে না এবং একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে- একটাও রাখেননি।
গতকাল (শনিবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ওপর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যাওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন সে বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যে কথাগুলো (জাতীয় ঐক্য, সংসদে যাওয়া) উনি বলছেন, এগুলো কথার কথা, এগুলো উনি সবসময় বলেন। আমরা তো ফলাফলই প্রত্যাখান করেছি, সেখানে আপনার নতুন করে শপথ নেয়া ও পার্লামেন্টে যাওয়া- এই বিষয় তো কোনো প্রশ্নই উঠে না।
শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের ওপর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য আমি শুনেছি। প্রথমে সেটা মনে হয়েছে যে, উনি একটা গিøটি কনসেস থেকে বক্তব্যটা রেখেছেন। কেনো জানি না মনে হয়েছে যে, তার কোথাও একটা মনে হচ্ছে যে, বিষয়টা ঠিক হয়নি। একটা ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। সেই ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন- কেন বিএনপি ভালো করতে পারল না, কেন তারা (আওয়ামী লীগ) এত ভালো করল। যেটা তার চিন্তা-ভাবনা থেকেই বলেছেন। ভয়ে প্রকৃত ঘটনায় কেউ যেতে চাচ্ছে না। মিডিয়াও বলছেন না, অন্যান্যরাও সহজে বলতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে মিডিয়া, পলিটিক্যাল এরিনা, বিভিন্ন দেশগুলো থেকে যে সমস্ত বক্তব্য এসছে, যে সমস্ত রিপোর্ট এসছে- তাতে করে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। এটা একটা কঠিন তামাশা হয়েছে জাতির সঙ্গে। যে কথাটা আমি বারবার বলেছি, জাতির সঙ্গে ক্রুয়েল মকারী। তিনি বলেন, এ নির্বাচন বাংলাদেশের একটা বড় রকমের ক্ষতি করে দিয়েছে দীর্ঘ স্থায়ীভাবে। এই নির্বাচনের ফলে নির্বাচন প্রতিষ্ঠানের ওপর, নির্বাচন কমিশনের পরে আস্থা চলে গেল, এই নির্বাচনের ফলে রাষ্ট্রের ওপরে আস্থা চলে যাচ্ছে। এ জন্য যে এই নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল, বিভিন্ন এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল, সামগ্রিকভাবে যেন জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে নামিয়ে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রকে। যেটা আওয়ামী লীগ করেছে। শুধু আমি নই, দেশের সকল সচেতন মানুষ মনে করে, এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছি। পুনরায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরা একটা নির্বাচন দাবি করেছি এবং সেই নির্বাচনে জনগণ যাতে তার রায় দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা বলেছি।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বক্তব্যে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ফিরিস্তিগুলো দিয়েছেন, উনার ইশতেহারের ফিরিস্তি, উনার কাজের ফিরিস্তি- এখানে তো বিরাট রকমের গরমিল রয়েছে। এই যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে এটা পুরোপুরি তো ধোঁকার উন্নয়ন। কিছু মানুষ বড়লোক হচ্ছে, ধনী হচ্ছেন। পত্রিকায় রিপোর্টও এসছে যে, বাংলাদেশের ধনীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আর গরিব আরো গরিব হচ্ছে। প্রত্যেকটি দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিচে চলে যাচ্ছে। আপনার জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, বিনিয়োগের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং ব্যাংকে যারা টাকা রাখছেন তারা পর্যন্ত দেখছেন ব্যাংক থেকেও টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে। দুর্নীতি এমনভাবে বেড়েছে, যেন সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্নও করতে পারে না। পুরোপুরি একদলীয় শাসনব্যবস্থা চলছে এবং সেটা করার জন্য এই সমস্ত আয়োজন করা হচ্ছে। সে জন্য নির্বাচনটা এভাবে করা হয়েছে। এই সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।