Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট পুটখালী সীমান্ত

দিনে ২০ কেজির বেশি পাচার সক্রিয় ১৫টি সিন্ডিকেট

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভারতে স্বর্ণ পাচারের নিরাপদ রুট বেনাপোলের আলোচিত পুটখালী সীমান্ত। ভারতে স্বর্ণের দাম উর্ধ্বগতি হওয়ায় এ সীমান্ত পথে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। দেশী ও আন্তর্জাতিক একটি শক্তিশালী পাচারকারী চক্র এই রুটকে পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে দীর্ঘদিন দরে। পাচারে সবার উপরে রয়েছে আলোচিত দুটি সিন্ডিকেট। তবে বিজিবি প্রায়শ:ই পাচারকারীসহ বিপুল পরিমান স্বর্ণ আটক করলেও থেমে নেই পাচার। কারন অধিকাংশ পাচারের সংবাদ পাওয়া যায় না। তারপরও বিজিবি সোর্স নিয়োগ করে আটক অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, পুটখালীর সব পাচার হয় একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। প্রতিদিন প্রায় ২০/৩০ কেজি করে স্বর্ণ পাচার হয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ও নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় প্রতিদিন এ পথে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বার।
বিজিবি জানায়, গত বছরে শুধু পুটখালী সীমান্ত থেকেই প্রায় ৩৫ কেজি সোনার বারসহ বেশ ক’জন সোনাপাচারকারীকে আটক করেছে। তবে শার্শা-বেনাপোলের সব সীমান্ত দিয়ে যত সোনা পাচার হয়, তার চেয়ে বেশি সোনা পাচার করা হয় পুটখালী সীমান্ত দিয়ে।
সূত্র আরও জানায়, চোরাচালানীরা কখনও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, আবার কখনও ম্যানেজ করে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জনের হাতবদল হয়ে সোনা পাচার করে ভারতে।

সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা থেকে ট্রেন অথবা বাসে করে একটি গ্রæপ স্বর্ণ নিয়ে আসে বেনাপোলে। পরিবহন কাউন্টার অথবা তাদের নির্ধারিত স্থানে স্বর্ণের চালানটি হাতবদল হয়ে চলে যায় স্থানীয় এজেন্টদের হাতে। স্থানীয় এজেন্টরা সেই স্বর্ণের চালান নিয়ে যায় পুটখালীর বিভিন্ন ঘাট দিয়ে। যার মধ্যে পুটখালীর অন্তত ৭টি পকেট ঘাটসহ দৌলতপুর সীমান্ত ঘাট দিয়েও পাচার হচ্ছে সোনা। চোরাচালানীরা সীমান্তের অবৈধ পকেট ঘাট এলাকার নির্ধারিত কোনও বাড়িতে সোনার চালান জড়ো হয়। সেখান থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতীয় এজেন্টের হাতে বার পৌঁছে দেওয়া হয়।

এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ করা হলে পাল্টা রিপোর্ট করারও ব্যবস্থা রয়েছে তাদের হাতে। কারণ, পুটখালী চোরাচালান সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ কর্তা বিজিবি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত চোরাচালান ঘাট মালিকরা। ঘাট মালিকরা আবার বিভিন্ন স্থানে হিস্যা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকে চোরাচালান প্রক্রিয়া। তাদের নিয়ে নিউজ করলে সম্মান হারানোর ভয় রয়েছে সাংবাদিকদের। কারণ তার কাছ থেকে হিস্যা আদায়কারীরা উল্টো সংবাদ প্রকাশ করে তাকে রক্ষা করতে। আর এসব কারণেই বিজিবি-পুলিশের অভিযান সত্বেও পুটখালীর সোনা পাচার চক্রকে ঠেকানো যাচ্ছে না। সীমান্তবাসীর অভিযোগ, পুটখালি সীমান্তের অন্তত ১৫টি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে চোরাচালান কাজে।
২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে.কর্নেল ইমরান এইচ সরকার জানান, পাচার রোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি রেখেছে। সোর্স নিয়োগ করা করা হয়েছে। বর্তমানে এই সীমান্তে আগের চেয়ে সোনা চোরাচালান হ্রাস পেয়েছে অনেকটা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ