Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মতলব রণক্ষেত্র

পুলিশসহ আহত ২০ নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড গুলি পুরুষ শূন্যগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্যকে বিস্তার নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৬ গ্রামবাসী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৮০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ৪ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মামাতো ভাই আলীর বৌভাত অনুষ্ঠানে রাজ্জাক প্রধান গংদের সাথে বাবুল মেম্ব^ারের লোকজনের সাথে কথাকাটি হয়। এরই সূত্রধরে রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে বাবলু গংরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠি, সোটা, সাবল নিয়ে বারেক বেপারী, আহাম্মদ হোসেন, জালাল বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ, মোহাম্মদ হোসেন, আক্তার হোসেনের বসত ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে বাবুল মেম্বারের লোকজন পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর বেপারী, দুলাল বেপারী, শুক্কুর আলী, আক্তার হোসেন, আনোয়ার, মফিজুল ইসলাম’সহ ১৬জন আহত হয়। আহতদের ছেংগারচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনার পর মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের সাথে আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে রাজ্জাক প্রধানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসআই জসিম-১, এএসআই আফজাল, কনস্টেবল জহির’সহ ৪জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, আমরা জুমার নামাজে ছিলাম, এ সময় রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বসতঘর, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ লুটপাট করাসহ নারী-পুরুষের উপর হামলা করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে রাজ্জাক প্রধানের সাথে মুঠোফোনে তথ্য নেয়ার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ