Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেড়েছে ব্যাংকের সিএসআর ব্যয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

টেকসই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার বা নীতি, যা সমাজের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে ব্যবসার নিয়মের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করে। তবে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে এই খাতে বিনিয়োগের হার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) সমন্বিতভাবে ৬২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। ব্যাংক থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬২৭ কোটি ১৩ লাখ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে ব্যায় করা হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে সিএসআর খাতে ব্যয়ের পরিমাণ সর্বমোট ৬২৭ দশমিক ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ও স্বাস্থ খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ব্যাংগুলো। এই তিন খাতে যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ৪০, ৩৯ দশমিক ৩৬ এবং ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সমন্বিতভাবে সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে মাত্র ২ কোটি টাকা। যা মোট ব্যয়ের শূণ্য দশমিক ৩১ শতাংশ। তবে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এবং বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ এ খাতে কোন অর্থ ব্যয় করেনি।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে ৩৮টি ব্যাংক জানুয়ারি-জুন মাসে সিএসআর ব্যয় করেছে ৬২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যা মোট সামাজিক দায়বদ্ধতা ব্যয়ের ৯৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অপরদিকে, বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে ৭টি ব্যাংক এ খাতে ব্যয় করেছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মোট ব্যয়ের শূণ্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় বেড়েছে শিক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়। আগের ষান্মাসিকে (জুন-ডিসেম্বর, ১৭) এই দুই খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ কোটি ও ২৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু (জানুয়ারি-জুন, ১৮) ষান্মাসিকে এসে এর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৭২ ও ২৪৬ কোটি টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগের তুলনায় সমাজিক দায়বদ্ধতার নানা খাতে আর্থিক ব্যায় বৃদ্ধি করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, সংস্কৃতি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি হওয়া দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ