Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জরিমানা দিয়েই ইট ভাটায় পুড়ছে বৃক্ষ

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় ১০৫টি ইট ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সরকার নিষিদ্ধ ইট ভাটা দিন দিন বেড়েই চলছে। অবৈধ এসব ইটভাটা ঘিরে মাগুরার ৪ উপজেলায় চলছে পরিবেশ দুষণের উৎসব। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানার টাকা দিলেই চালান যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটা। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবে চলে আসলেও এ অবৈধ ভাটার ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এবার মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় ১০৫ টি ইটভাটা চলছে। কোন ভাটারই হালনাগাদ লাইসেন্স নেই বলে জেলা প্রশাসনের নেজারত শাখা দেয়া তথ্যে জানা যায়। ১০৫টি ভাটার মধ্যে মধ্যে মাত্র ২টি ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স আছে। বাকি ১০৩টি ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে ২৮ টি ভাটায় জ্বালানী হিসেবে কয়লা, আর বাকি ৭৭টি ভাটায় প্রতিদিন পুড়ছে প্রায় ২০ হাজার মন জ্বালানী কাঠ। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চালু ইটভাটাগুলোর অধিকাংশই আবাসিক এলাকা, কৃষিজ জমির ওপর স্থাপিত। যা সরকারি আইনের পরিপন্থী। প্রতি বছর আবাদি জমি যেমন কমছে তেমনি পরিবেশ হয়ে উঠছে রুক্ষ আর ধ্বংস হচ্ছে বৃক্ষরাজী।

কয়েকজন ভাটা মালিক অভিযোগ করে বলেন, কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পুরানো ভাটাকে পরিবেশ বান্ধব জিগজাগ কিলিন ভাটায় রূপান্তর করেছি। তারপরও ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। অথচ নিষিদ্ধ চিমনি ভাটায় জ্বালানী কাঠ দিয়ে ইট পুড়িয়ে সরকারি আইন লংঘন করে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে এসব ভাটা বন্ধের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জরিমানা দিয়েই তারা ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে লাইসেন্স নেয়া বা নবায়নের ব্যাপারে তেমন কেউ উৎসাহ দেখাচ্ছে না।

মাগুরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, মাত্র ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেই টিনের চিমনীতে ইট পুড়িয়ে ভাল লাভ করছে, সরকাকে ভ্যাট, ট্যাক্স কিছুই দেয়া লাগে না। অপরদিকে সরকারি নিয়ম মেনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কয়লা পোড়াতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক মো. আলী আকবর বলেন, অবৈধ ভাটায় এ বছরই প্রথম ইট পুড়ছে তা নয়। অনেক আগে থেকে চলে আসছে। তবে মনিটারিংয়ের মাধ্যমে এসব ভাটাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ