পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনগণ জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে যারা তাঁকে ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দেশের আসল মালিক জনগণের প্রকৃত ভোট দেয়ার অধিকার ও সাংবিধানিক দাবিকে উপহাস করার নতুন মাত্রা যোগ করলেন ২৯ ডিসেম্বর রাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ তেরো সফলতায় বিজয়ী হয়েছে এবং বিএনপি’র সাতটি ব্যর্থতায় পরাজয় হয়েছে। ভোটের আগের দিন রাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন তিনি জ্ঞানতাপস সেজে সফলতা-বিফলতার পরিসংখ্যান দিচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ভোট ডাকাতিতে জড়িত নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি-আসলে এটিই হচ্ছে তাঁর প্রকৃত ধন্যবাদ।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জনগণ বিজয়ী হয়নি কিংবা আওয়ামী লীগও বিজয়ী হয়নি, বিজয়ী হয়েছে জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আসলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জনগণের সাথে নিচু মানের'। কয়েক মাস ধরে চালানো মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িকের সাথে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে নানাবিধ দমন-পীড়ন ও নিপীড়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী-এজেন্সি ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে চারিদিকে রক্তপাত ও হত্যার মর্মরিত পদশব্দে ভোটের যে নজীর স্থাপন করেছেন সে কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। আইনের তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা হয়েছে। নির্বাচনের পূর্বাপর অগুনতি সহিংস সন্ত্রাসের প্রতাপে এখনও জনজীবন নির্ভয়, নি:শঙ্ক হতে পারেনি। ভয়-কষ্ট-ক্লান্তি ও হতাশার অনুভূতি মানুষের মনে জেঁকে বসেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গতকাল ‘নিশীথ রাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী’ তাঁর তামাশার ভাষণে জনগণের সাথে ঠাট্টা করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অমানবিক আচরণ করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার সাথে গতকাল তাঁর আত্মীয়স্বজনরা দেখা করতে গিয়েছিলেন। কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার বাস করার জায়গাটির কোন পরিবর্তন হয়নি। অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেতে ও ধুলাবালিতে আকীর্ণ কক্ষটিতে তাঁকে বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বারবার এ বিষয়ে কারাকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা ভ্রুক্ষেপহীন থেকেছে। বেগম জিয়ার সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে সেটি অমানবিক ও দু:খজনক।
তিনি বলেন, জনগোষ্ঠীর সমাদৃত ও বিপুল জনপ্রিয় নেত্রীকে পরিকল্পিতভাবেই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিকে পর্যুদস্ত করতে দমনের নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব শক্তি প্রয়োগ করে লাল দেয়ালের মধ্যে মুক্তিহীন অন্তরীণ করে রেখেছেন। বেগম জিয়ার জামিনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে নানা কায়দা-কৌশল করে। তাই মুক্তিপণ আদায়ের মতো আচরণ করছে সরকার তাঁর সাথে। অর্থাৎ তাঁকে বন্দী করে একের পর এক শুন্যজনপদে ভোটারবিহীন নির্বাচন করা। তবুও গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের সংগ্রামে অবিচল বেগম জিয়াকে কোনভাবেই টলাতে পারেনি সরকার।
বিএনপি নেতা বলেন, দেশনেত্রী মুক্ত থাকলে আওয়ামী সরকার কোনভাবেই ভোটের আগের দিন ‘নিশীথ রাতের ভোট’ করতে পারতেন না। তাঁর অসুস্থতার কথা বিবেচনা না করে তাঁকে ঘনঘন আদালতে হাজির হতে বাধ্য করা হচ্ছে। আদালতে অপরিসর এবং বসার অনুপযোগী এমন একটি পরিবেশে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। বারবার বেগম জিয়া এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। এটাও ধারাবাহিক জুলুমের একটি অংশ। আমি দলের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার প্রতি সরকারের এধরণের ঘৃন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ ভেতরে ভেতরে চুপসে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব গত পরশু বলেছেন, বিএনপি ভেঙ্গে যাবে। গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি’র পরিণতি মুসলিম লীগের দিকে যাচ্ছে কি না সে আশঙ্কা করছেন।
আওয়ামী লীগ তো ভেতর থেকে ভেঙ্গে চুপসে গেছে। সেখানে নানা পন্থী এবং সিনিয়র-জুনিয়র এর নানা ধারা। যে কারণে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠূ নির্বাচন করতে পারেনি, পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে। পুলিশী ক্ষমতা যখন থাকবে না তখন তো আওয়ামী লীগের বাতি জ্বালানোর লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপি’র মধ্যে কোন বিভেদ নেই। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারেনি বলেই ওবায়দুল সাহেবের বুকে বড় জ্বালা। এজন্য তিনি বিএনপি’র ছিদ্র খুঁজতে আর্তচিৎকার করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে মনে রাখার জন্য বলবো-শকুনির দোয়ায় গরু মরে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।