বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
সৈয়দ ইবনে রহমত
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলীরোডস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের নিমার্ণ কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি যা বলেছেন তার কিছু বিষয় নিয়ে তোলপাড় চলছে। জনমনে সৃষ্টি হয়েছে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি এবং বাড়ছে উদ্বেগ। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চারটি ব্রিগেড ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাকি সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে।’ অথচ, ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয়টি স্থায়ী সেনাক্যাম্প থাকার কথা রয়েছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক চুক্তির ঘ খ-ের ১৭(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি সই ও সম্পাদনের পর এবং জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার সাথে সাথে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) ও স্থায়ী সেনানিবাস (তিন জেলা সদরে তিনটি এবং আলীকদম, রুমা ও দীঘিনালা) ব্যতীত সামরিক বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম হইতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী নিবাসে ফেরত নেয়া হইবে এবং এই লক্ষ্যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হইবে। আইন-শৃঙ্খলা অবনতির ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে এবং এই জাতীয় অন্যান্য কাজে দেশের সকল এলাকার ন্যায় প্রয়োজনীয় যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণে বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা যাইবে। এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন বা সময় অনুযায়ী সহায়তা লাভের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক পরিষদ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করিতে পারিবেন।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক চুক্তিতে স্পষ্ট ভাষায় ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাস থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও প্রধানমন্ত্রী কেন চারটি স্থায়ী সেনানিবাস রাখার কথা বললেন তা বোধগম্য নয়। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী কি পার্বত্য চুক্তি সংশোধন করতে চাইছেন? নাকি পার্বত্য চুক্তি বিষয়ে এটি সরকারের নতুন অবস্থান? অথবা তাঁর বক্তব্য যারা লিখেছেন এটি তাদের তথ্যগত ভুল? ঘটনা যাই হোক, এটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে, উদ্বেগ বাড়িয়েছে জনমনে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অনেকগুলো অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প ইতোমধ্যে সরানো হয়েছে। এমনকি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাপ্তাই ব্রিগেডও। আর এসব ক্যাম্প সরানোর ফল কী হয়েছে তা পার্বত্যবাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, খুন এখন সেখানে নিত্যদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে আর কোনো অবৈধ অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সেখানে এখনও সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। সেনাবাহিনীর হাতে প্রায় সময় অত্যাধুনিক অস্ত্র-সস্ত্রসহ ধরাও পড়ছে। কখনও বা নিহত হচ্ছে। তাই বলে, তাদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, গুম, অপহরণ, খুনের নির্মমতা কমছে না। এসব সন্ত্রাসীর হাত থেকে পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কৃষক, জুমিয়া, জেলে, মোটরসাইকেল চালক, বেবি-টেক্সি চালক, গরু ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, বড় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার কেউ বাদ যাচ্ছেন না। যারা নিয়মিত পার্বত্য পরিস্থিতির বিষয়ে নজর রাখেন তারা এটা ভালোভাবেই জানেন। অবস্থাটা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে, খোদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরই প্রাণ ভয়ে তটস্থ থাকতে হচ্ছে। চলমান ইউপি নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে হওয়ার কথা ছিল রাঙ্গামাটি জেলার ৪৯টি ইউপির নির্বাচন। কিন্তু পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ফলে কমিশনকে দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে নিতে হয়েছে। এর পরও সবগুলো ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদের অবস্থা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কী ব্যাখ্যা ভোটারদের কাছে দেওয়া যাবেÑতা নিয়েও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন।
তাই চারটি ব্রিগেড ছাড়া বাকি সব সেনা ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নিলে কী সূচনীয় অবস্থা দাঁড়াবে তা উপলব্ধি করেই পার্বত্য সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব সংগঠনের উদ্বেগের কারণ স্পষ্ট হয়েছে গণমাধ্যমকে দেওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের বক্তব্যেও।
৮ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে চারটি ব্রিগেড ছাড়া অন্য সব সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন একসময় ওই এলাকায় ব্রিগেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত যত দ্রুত প্রত্যাহার হবে ততই মঙ্গল। ৩৫ বছরে ওই এলাকায় যে স্থিতিশীলতা এসেছে; এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। শান্তির বদলে আসবে অশান্তি। কেন সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, সেখানে সেনা ক্যাম্পগুলোর চতুর্পাশে নীরব নিরাপত্তার বলয় থাকে। সেনা ক্যাম্পগুলো সাধারণত সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। আমরা সেখানকার অনেক ঘটনা জানি। সন্ত্রাসী কর্মকা-, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অনেক ঘটনা আমরা দেখেছি। সেনা নিরাপত্তা না থাকলে ওই এলাকার পরিস্থিতি কী হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই ধরনের সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয় তাহলে তার আগে সেখানে ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করেই নিতে হবে অথবা এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
জেনারেল ইবরাহিমের বক্তব্য শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিগেড পরিচালনার অভিজ্ঞতার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য জনসংহতি সমিতির সাথে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তার ভিত্তি রচনাকারী হিসেবেও তার বক্তব্য প্রণিধান যোগ্য। কেননা, ১৯৮৯ সালে সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের আমলে প্রণীত পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনগুলো হচ্ছে পার্বত্য চুক্তির ভিত্তি। আর জেলা পরিষদ আইনগুলো প্রণয়নের কারিগরদের অন্যতম ছিলেন তৎকালীন খাগড়াছড়ি বিগ্রেড কমান্ডার ইবরাহিম। অতএব, পার্বত্য সমস্যার নাড়ী-নক্ষত্র তার নখদর্পণে রয়েছে।
৮ মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে চারটি সেনা ব্রিগেড ছাড়া বাকি সব সেনা ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি ঘোষণা তিনি দিয়েছেন। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১’ সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে আমরা যে আইনটা করেছিলাম, সেখানে তারা (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তথা সন্তু লারমা) কিছু সংশোধন চেয়েছেন। সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে যতটুকু করা সম্ভব, সেটা আমরা করে দেব।’ প্রধানমন্ত্রী সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে আইন সংশোধনের কথা বলেছেন, কিন্তু দেশবাসী এতে পুরোপুরি আশ্বস্থ হতে পারছে না। কারণ, সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই পার্বত্য চুক্তি এবং চুক্তি অনুযায়ী জেলা পরিষদ আইন, আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের কথা বলা হলেও হাইকোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে বাতিল করার পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের চারটি ধারাকে সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার কারণেই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনৈতিক বক্তব্য এবং প্রকৃত বাস্তবতা সব ক্ষেত্রে এক থাকে না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১ সংশোধনের ক্ষেত্রে সেটা কীভাবে প্রতিফলিত হবে তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ আছে বৈকি। আইনটি বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তাতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার অর্ধেক বাঙালিদের ভূমির অধিকারের নিশ্চয়তা নেই। সেই আইনে জনসংহতি সমিতির সুপারিশ মতে আবারো সংশোধন আনা হলে তাতে সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব কতটুকু রক্ষা করা যাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেও যার বা যাদের পরামর্শে তিনি ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১’ সংশোধনের কথা ভাবছেন তারা এদেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের প্রতি কতটা অনুগত তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ আছে। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের পর ১৯৯৯ সালের ১২ মে সন্তু লারমা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। সেই থেকে অদ্যাবধি একই পদে তিনি বহাল আছেন। গাড়িতে পতাকাসহ রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করছেন। অথচ আজ পর্যন্ত তিনি কোনো দিন এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনারে গিয়েছেন বলে শোনা যায় না। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস আসে যায়; কিন্তু তিনি কোনো দিন শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধমুখী হননি। তাছাড়া, সন্তু লারমার দল পার্বত্য জনসংহতি সমিতি সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিয়মিতই অংশ নেয় এবং তাতে জয় লাভও করে। অথচ দলটির প্রধান সন্তু লারমা আজ পর্যন্ত এদেশের নাগরিকত্বের প্রতীক জাতীয় পরিচয়পত্রটি পর্যন্ত গ্রহণ করতে সম্মত হননি। রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেও এতটা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ যিনি করতে পারেন, সেই তারই পরামর্শে ‘পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১’ সংশোধন করার পরিণতি কী প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করেন না? তাছাড়া একই বিষয়ে দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়াটা কি অমূলক?
আমাদের বিশ^াস, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবশ্যই অনুধাবন করেন। আর সেটা অনুধাবন করেন বলেই তিনি আরও বিচক্ষণতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে কথা বলবেন বলেই আমরা আশা করি। একই সাথে, গত ৮ মে ২০১৬ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স উদ্বোবধনের সময় বক্তব্যে যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তা নীরসনে যথাযথ উদ্যোগ নিবেনÑআমরা সে প্রত্যাশাও করি।
য় লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক
ংধুবফরনহৎধযসধঃ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।