Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অল ইয়ূথ সোসাইটির সাফল্যগাথাঁ

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯

সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে তৈরী হয় একটি পরিবার। একটি অঞ্চল হয়ে যায় একটি ঘরের ছাদ। সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে লক্ষ্মীপুরের কয়েক জন যুবক গড়ে তুলেছে ‘অল ইয়ূথ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠন। এ অঞ্চলের মানুষগুলোকে এক সুতায় বেঁধে একে অপরের সুখে দুঃখে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। এছাড়া একতাবদ্ধ হয়ে সমাজের অসংগতি তুলে ধরে মাদকের প্রভাব, বাল্য বিবাহ, শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষদের সচেতন করা। ছাত্রসমাজকে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা, গরীব মেধাবী মানুষগুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে সমাজ গঠনে জনসচেতনতা তৈরী করা এ সংগঠনটির উদ্দেশ্য।
সংগঠনটির ইতোমধ্যে বিভিন্ন মসজিদে মাদুর প্রদান, শীতার্ত মানুষকে শীত বস্ত্রদান, বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং করা, মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যালিসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ করেছে। মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটির যথার্থতা প্রমাণ দিয়ে সংগঠনটি ৫০০ ব্যাগ রক্ত দান করেছে। অজপাড়া গাঁয়ে এ সংগঠনটি মানুষের কাছে একটি আস্থার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সংগঠটির মুখপাত্র আবু জায়েদ পাটোয়ারী বলেন, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর আমরা সমাজের মানুষের মধ্যে সচেতনা তৈরি পাশাপাশি ছাত্রদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, আরিফুর রহমান, তরিকুল ইসলাম নিশু, সজিব চৌধুরি, আব্দুল্যা আল মাজেদ, ফিরোজ আলম মান্নান, বেলায়েত হোসেন মিলনসহ বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শে সংগঠনটির মানুষের সেবায় ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। ইতেমধ্যে আমরা ৫০০ ব্যাগ রক্তদান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি।
মাদকের বিরুেেদ্ধ আপনাদের কার্যক্রম কি জানতে চাইলে সংগঠনের এ মুখপাত্র জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সমাজের সবাই মিলে আমরা মাদকের রিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তুলছি।
সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা হাসিবুর রহমান মাজেদ, আরমান আহমেদ বোরহান, ইমরান পাটোওয়ারী, নাইমুর রশিদ, রুবেল হোসেন, জামাল হোসেন বাবু, ফরহাদ পাটোওয়ারী, পাপন, তারেকও সহমত পোষণ করে বলেন, আমরা প্রমাণ করতে চাই তরুণরা একতাবদ্ধ হলে সমাজে পরিবর্তন সম্ভব।
অন্য সদস্যদের মধ্যে মাজারুর, নাজিম, আকতার, সাকিবুল, শরাফাত, নাহিদ, নায়েফ, মেহেদি আল হাসান, আদনান হোসেন তুরাব, মেহেদি খান নিশান, শুভ আনসারিদের চোখে ছিল সমাজ পরিবর্তনের হাতছানি। তবে সকলের কণ্ঠে ছিল এক ও অভিন্ন সুর মানুষ মানুষের জন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ