বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশকে হটিয়ে চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে জামায়াত। এর আগে পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও বর্ষণ করেছে। বুধবার বাদ জোহর নগরীর চকবাজারে প্যারেড মাঠে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয় জামায়াত। আর তা ঠেকানো ঘোষণা দিয়ে সকাল থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন করা হয়। দুপুরের আগ থেকে জামায়াত শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী প্যারেড ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ছাত্রলীগও মাঠের আশপাশে জড়ে হয়ে শ্লোগান দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজামীর গায়েবানা জানাজা ঠেকাতে প্যারেড মাঠের পূর্ব গেটে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।অন্যদিকে চকবাজারের গোলজার মোড় ও আশপাশের এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট ও কেয়ারি কর্নারে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিবিরের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট ভেঙে প্যারেড মাঠে ঢুকে পড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে মাঠে জানাজা শেষ করে উত্তর দিক দিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। এ সময় আবারো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিবিরের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে কিছুক্ষণের মধ্যে শিবির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে প্যারেড মাঠের আশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে প্যারেড মাঠ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।