বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুরের বিরলে মিল ফ্যাক্টরী, কৃষি কাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে নারী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে মিলছে অর্থনৈতিক মুক্তি। শুধু তাই নয় গত ৫ বছরের তুলনায় নারী-পুরুষের মজুরী বৈষম্যও কমে এসেছে অনেকাংশে। নারী এবং পুরুষের মজুরী এখন প্রায় সমান সমান। পুরুষেরমত নারী শ্রমিকরাও মৌসুম ভিত্তিক কাজ চুক্তি ভিত্তিতে করছে। ফলে থাকছেনা মজুরী বৈষম্য। পূর্বে দেখা গেছে পুরুষ শ্রমিকরা যা মুজুরী পেত নারী শ্রমিকরা প্রায় সমান কাজ করে পেত অর্ধেক মজুরী। তাছাড়া নারীদের কৃষি ক্ষেত্রে শ্রম বিক্রি করতেও ছিল অনেক প্রতিবন্ধকতা।
দিনাজপুর জেলার সব থেকে নিকটবর্তী ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এ বিরল উপজেলাটি ১২ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। কৃষি প্রধান এ উপজেলায় পৌর শহরের নাড়াবাড়ী রোডের হুসনা এলাকায় ব্যাক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা রুপালী বাংলা নামে একটি জুট মিলস রয়েছে। এখানে গড়ে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে। পুরুষের থেকে নারী শ্রমিক বেশী রয়েছে। নারী এবং পুরুষ শ্রমিকদের কোন বৈষম্য ছাড়াই একই রকম মজুরী দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন, জুট মিলের সত্ত¡াধিকারী শিল্পপতি আলহাজ্ব এম আব্দুল লতিফ। একই কথা জানিয়েছেন, বালান্দোর গ্রামের আদর্শ কৃষক রিয়াজুল ইসলাম। তিনি জানান, নারী শ্রমিকরা এখন আর দিন হাজিরা হিসাবে শ্রম বিক্রি করেনা। তারাও পুরুষ শ্রমিকদের সাথে চুক্তি ভিত্তিক শ্রম বিক্রি করছে। তবে কিছু কিছু কাজ যেমন, ধানের চারা রোপন, ধান কর্তন, ভুট্টা ছাড়ানো, ভুট্টুা লাগানো, মরিচ ছাড়ানো এবং ফল মৌসুমে লিচুর থোকা বানানোর কাজে পুরুষ শ্রমিকদের থেকেও নারী শ্রমিকরা বেশী পারদর্শী। ফলে এসব কাজে পুরুষ শ্রমিকদের থেকেও নারী শ্রমিকদের কদর বেশী। জুট মিলস ছাড়াও নারী শ্রমিকরা বিভিন্ন অটো এবং হাসকিং রাইস মিল, মুরগীর খামার, নার্সারী এবং ইট ভাটাতেও কাজ করছে নারী শ্রমিকরা। ধান মাড়াইয়ের কাজে আসা হাসিলা গ্রামের নারী শ্রমিক ভারতি বালা জানান, হামেরা (আমরা) ঠিকা (চুক্তি) নিয়া বেটা (পুরুষ) মানুষের সাথে কাজ করেছি। সারাদিন ধান মাড়িয়া (মাড়াই করে) যা টাকা হয় হামেরা ঐটা মাইয়া- বেটা ছোয়াল (নারী এবং পুরুষ) সমান সমান ভাগ করি নি (নেই)। হামার বাড়িত ৬ জন মানুষ ( ৬ সদস্যের পরিবার) মুই মোর স্বামী (আমি এবং আমার স্বামী) দুই গেনা ছোয়াল ( দুই সন্তান) একগেনা বেটা ও একগেনা বেটি ( ১ ছেলে ১ মেয়ে) এবং মোর (আমার) শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী। ছোয়া দুই গেনা স্কুলত পড়ে। হামেরা (আমরা) ৪টা মানুষ কাম করি। সিজিনের সময় (প্রতিটি মৌসুমে) প্রতিদিন প্রায় দুই হইতে আড়াই হাজার কামাই (আয়) হয়। ঐ দিয়া হামারঘরে (আমাদের) সংসার চলে। কোন অসুবিধা হয়না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।