পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাজোটের শাসনামলে আদালতে যেন মামলার মহাজট লেগে গেছে। নিম্ন আদালত ও উচ্চআদালতে বিচারাধীন মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলছে। তারপরও প্রতিদিন প্রায় তিনশ বিচারাধীন মামলা জটতালিকায় যুক্ত হচ্ছে। নিত্যদিন দায়ের হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। নিষ্পত্তির হার তুলনামূলক অনেক কম। বর্তমানে দেশের (উচ্চ ও নিম্ন) আদালতগুলোয় বিচারাধীন মামলার সংক্যা ৩৫ লাখেরও বেশি। অথচ ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩টি। গত ৬ মাসে আদালতগুলোয় মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজার ৫৪৫টি। যা দেশের ইতিহাসে আদালতগুলোয় মামলা জটের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুশাসনের অভাব এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন মামলা জটের অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকা সর্বপরি নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক না করায় আদালতগুলোয় মামলা জট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ন্যায়বিচারের পথ সংকুচিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোটে মনজিল মোরসেদ ইনকিলাবকে বলেন, সুশাসনের অভাবে মামলা জট বাড়ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে মামলার দায়ের সংখ্যা কমে যাবে। সাবেক আইনমন্ত্রী সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় জরুরী। মামলা জটে ন্যায়বিচার ব্যাহত হচ্ছে। তবে আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমিয়ে আনা সম্ভব। সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, নতুন আইন করে মিথ্যা মামলা দায়েরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মামলার সংখ্যাও বাড়লেও বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। ভূয়া মামলাা করার প্রবণতা বন্ধ করা হলে মামলা জট ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।
সুত্র জানায়, মামলা জটের অনেকগুলো কারণ থাকলেও তিন’টি কারণ প্রণিধানযোগ্য। প্রথম কারণ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনে মামলা সংখ্যা বৃদ্ধি। দ্বিতীয় কারণ বিচারকের সংখ্যা কম। তৃতীয়ত নিম্ন আদালতের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ। সুত্রের দাবি গত কয়েক বছরে মামলার দায়ের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। মামলা দায়েরের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে একজন আইনজীবী বললেন, ২০০৪-৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্রস ফায়ার সংস্কৃতি শুরু হয়। ওই সময় ক্রস ফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নিহত হওয়ার পর প্রচার করা হতো অমুক শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা, তমুক শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। অথচ এখন বিএনপির একজন নেতার বিরুদ্ধেই দুইশ সোয়া দুইশ মামলা রয়েছে। এমনকি ওই দলটির মহাসচিবের বিরুদ্ধে ৮৮টি মামলা রয়েছে বলে দলটি দাবী করছে। একযুগ আগে একজনের বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ২০টি মামলা দায়ের হওয়াকে অস্বাভাবিক মনে করা হতো; অথচ এখন একজনের বিরুদ্ধে একশ থেকে দেড়শ মামলা দায়েরের পরও ঘটনাকে স্বাভাবিক হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
সারাবিশ্বের বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশে মামলার তুলনায় বিচারকের অনুপাত খুবই কম। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিচারক মাত্র একজন। পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ লোকের বিপরীতে যেখানে বিচারক ১০ জন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭ জন, কানাডায় ৭৫জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন এবং এমনকি ভারতেও ১৮ জন। ভারতে একজন বিচারকের বিপরীতে এক হাজার ৩৫০টি মামলা বিচারাধীন এবং একজন বিচারক বছরে ৫১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করছেন। বাংলাদেশে একজন বিচারকের বিপরীতে দুই হাজার ১২৫টি মামলা রয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমাদের দেশে একজন বিচারক বছরে নিষ্পত্তি করছেন ৭০০ মামলা। বিচারক স্বল্পতার কারণে গত এক যুগে শুধু ঢাকার ৪০টি আদালতে মামশা বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। সেখানে এখন মোট মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৭১টি। আর নিম্ন আদালতের বিচার ব্যবস্থার প্রতি হস্তক্ষেপ ওপেন সিক্রেট।
মামলার সব থেকে বেশি জট জেলা জজ আদালতগুলোতে। আইনজ্ঞরা মনে করেন, মামলা জটের কারণে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে প্রচলিত আইনি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তিতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়। নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় মামলার জট যেমন বাড়ছে তেমনি বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন থাকলে যেমনিভাবে মামলা দায়ের সংখ্যা কম হত ও তেমনিভাবে জটও কম হত।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় না থাকাকে মামলা জটের অন্যতম কারণ বলে জানালেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় জরুরী। সচিবালয় থাকলেও আদালতগুলোর তদারকি বেশি হত। মামলার বেশি নিষ্পত্তি করা যেত। তিনি বলেন, প্রতিদনই নতুন মামলা দায়ের হচ্ছে। কিন্তু নিষ্পত্তি তুলনামূলক কম। স্বাভাবিকভাবেই মামলার জট হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা নিষ্পত্তিতে বছরের পর বছর লাগছে। ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হচ্ছে। আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশে মামলার সংখ্যাও বাড়লেও সেই অনুপাতে বিচারক বিচারালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। এরপরও আবার নতুন নতুন আইন করার কারণে বিভিন্ন ধরণের মামলার হচ্ছে। ভুয়া মামলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এসব মামলার বিচারকার্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাক বিচারক ও আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থা নেই। তিনি আরো বলেন, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে কিছুটা হলেও মামলা জট কমবে।
পর্যাপ্ত বিচারক ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের তাগিদ দিয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মামলাজটের অন্যতম কারণ বিচার ব্যবস্থায় লজিস্ট্রিক সার্পোটের ঘাটতি। তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে মামলার দায়ের সংখ্যা কমে যেত। সকল ক্ষেত্রে আইনানুগ অনুযারী চলতে থাকলে বিষয়টি আদালতের আসবে না; মামলাও হবে না।
এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও মামলা জট নিরসনের নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিশেষ করে মাসদার হোসেন মামলার আলোকে বিচারকদের জন্য গেজেট প্রকাশ, বিচারকদের কর্মঘন্টা বাড়ানো,রেজিস্ট্রার জেনারেল অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ না করা। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দায়িত্বে নেয়ার পর জট নিরসনে পুরানো মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করার তাগিদ দেন। মামলার সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ বলেছেন, বিচারাধীন ৩৪ লাখ মামলার বিপরীতে আমাদের বিচারক মাত্র ১ হাজার ৬৪৭ জন। ভারতে বিচারাধীন তিন কোটি মামলার বিপরীতে বিচারক ২৩ হাজার জন।
গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩টি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এখন ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৮৯৮টি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর গত ছয় মাসে এ সংখ্যা বেড়েছে ৫৪ হাজার ৫৪৫টি। শুধু ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সংখ্যা ৭৩ হাজার ৮৯৯টি।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ৫ লাখ ২৭ হাজার মামলা বিচারাধীন। গত বছরের পযন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬টি, বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা ৬ হাজার ৩ শ ৫১টি মামলা। অন্যান্য মামলা ১১৬টি।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪৯২টি। বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা ৩ লাখ ১২ হাজার ২০৫টি মামলা। রিট ৭৮৯৩৯টি আদিম রিট ৯৭৭৯টি মামলা। আর জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ অন্যান্য আদালতে ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৪টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ৭ হাজার ৬৯৫টি এবং আপিল বিভাগে ১৯ হাজার ৬১৯টি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে সব মিলিয়ে বর্তমানে বিচারাধীন মামলা ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৮৯৮টি। যার মধ্যে দেওয়ানি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫টি, ফৌজদারি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯১৪টি এবং অন্যান্য ৯০ হাজার ৩৫৯টি।
নিষ্পত্তিতে ধীরগতি: গত বছরের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে লক্ষাধিক মামলা বিচারাধীন এবং ক্রমান্বয়ে মামলাজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারাধীন মামলার মধ্যে পাঁচ বছরের অধিক পুরাতন মামলার সংখ্যাও কম নয়। ফলে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধিসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ বছরের অধিক পুরাতন মামলা নিষ্পত্তি করে ক্রমবর্ধমান মামলাজট নিরসনের বিকল্প নেই। এমতাবস্থায় দেশের সকল অধস্তন আদালত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ বছরের অধিক পুরাতন মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রদান করা হলো। এতে আরো বলা হয়, মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালে পাঁচ বছরের অধিক পুরনো বিচারাধীন মামলা ও নিষ্পত্তির বিবরণী সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হবে। ৬ বছরের অধিক সময় ধরে বিচারাধীন মামলাই নয়, কয়েক দশক ধরে বিচারাধীন মামলাও এখন চলছে বলে জানান আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগ: মামলা জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির পরামর্শে বিগত বছরের মামলার আধিক্য কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রতই সফলতা পাওয়া যাবে বলে মনে করে কোর্ট প্রশাসন। বছরের শুরুতেই মামলার আধিক্য কমানোর জন্য বিচারাধীন মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে জোর দেন প্রধান বিচারপতি। ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের ১৪টি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন পুরনো ফৌজদারি মামলাগুলোর শুনানির জন্য। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার পুরনো মামলাগুলো শুনানির জন্য রাখা হয়। কোর্টের নিজস্ব তহবিলে দেশের কয়েকটি নিম্ন আদালতে কম্পিউটার সরবরাহ করেছে প্রশাসন। আপিল বিভাগের মামলা নিষ্পত্তি করতে দুটি পৃথক আপিল বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। আর নিম্ন আদালতের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের কর্মঘণ্টা পুরোপুরি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের (মুখপাত্র) স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, নতুন বছরের শুরুতে মামলার জট খুলতে কার্যকরী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির পরামর্শে বিগত বছরের মামলার আধিক্য কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।