বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলা জেলা সংবাদদাতা : দ্বীপ জেলা ভোলায় গত কয়েকদিনে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। তাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স।
প্রচণ্ড শীতের কারণে গত পাঁচদিনে জেলার মনপুরা উপজেলায় তিনজন ও চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরি-কুমরিতে একজন বৃদ্ধ মারা গেছেন। ভোলার সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শীত জনিত কারণে মৃত ব্যক্তিরা হলেন— মনপুরা উপজেলার চরফয়েজ গ্রামের অভিনাশ নন্দী (৬৯), একই এলাকার নুরুল হক (৭৪), একই উপজেলার মনপুরা গ্রামের সিরাজুল হক (৮০) ও উপজেলার চর কুকরী-কুমরীর আনিসুল হক (৭৬)।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জনশন থেকে শিশু শারমিনের মা ইয়াসনুর বেগম বলেন, ‘তিন মাসের মেয়ের ঠাণ্ডা লাগায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। দুইদিন ধরে ভর্তি আছে। ডাক্তার দেখে জানিয়েছেন প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে নিউমোনিয়া হয়েছে।’
দৌলতখান উপজেলার আসলামপুর থেকে আসা শিশু কবিরের বাবা বলেন, ‘এক মাসের বাচ্চাকে ঠাণ্ডার কারণে ভর্তি করেছি। ডাক্তার বলেছেন নিউমোনিয়ার হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটামুটি হলেও বেডের সংকট রয়েছে।’
তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর এলাকার শিশু হাবিবের মা ও ফুফু জানান, ঠাণ্ডার কারণে মঙ্গলবার রাতে দুই মাসের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। কিন্তু ঠিকমত ডাক্তার পাওয়া যায় না। নার্সরাও আসে না। একই বেডে ভাগাভাগি করে আছেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহম্মদ জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভালোভাবে ডাক্তার ও নার্সরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য নেবুলাইজার, অক্সিজেন এবং এন্টিবায়োটিক ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। ঠাণ্ডায় শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বৃদ্ধরাও ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শুধু তীব্র শীতে শিশুরাই নয়, বয়স্করাও পড়ছেন বিপাকে। হাড় কাঁপানো শীতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের জন্য চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুমিয়া এলাকার বাসিন্দা ছোবাহান, আনিছ, জিল্লুসহ অনেকে বলেন, ‘এ বছর শীতে আমরা অনেক কষ্ট করতেছি। টাকার অভাবে শীত বস্ত্র কিনতে পারছিনা। সরকারিভাবে কেউ আমাগোরে শীত বস্ত্র দেয় নাই।’
চরফ্যাশন উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ রোগী আবুল হাকিম (৭০)বলেন, ‘কয়েকদিনের শীতের কারণে ঠিক মত শ্বাস নিতে পারছি না। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা।’
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, শীতার্ত মানুষের মাঝে এ পর্যন্ত জেলায় ১৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।