পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চিরদিনের জন্য দূরে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নয়, আওয়ামী লীগেরই পরাজয় হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরাজয় মনে করলেই পরাজয়। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের ভাইদেরকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আমাদেরকে জনগণকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দল পুনর্গঠনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু তা সম্ভব না। কারণ শহীদ জিয়া আমাদেরকে একটি পরিচিত দিয়েছেন। তার নাম মুছে ফেলার কথা যারা বলেন তারা বাতুলতা করেন। আজকে দেশের এই যে উন্নয়ন তার ভীত শহীদ জিয়ার হাতে গড়া। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ অনাহারে দিন কাটিয়েছেন। বাসন্তী তার ইজ্জত ঢাকতে পারেনি। আজকেও দশ বছর ধরে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। সমাজতন্ত্রের নামে তারা সেসময় কি লুট করেছিলেন তা জানি। গার্মেন্টস, কৃষি, শিল্প সব কিছুই জিয়াউর রহমানের হাতে সূচনা। তারা ক্ষমতা ছাড়তে চাননা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হতাশার কোনো জায়গা নেই। এগিয়ে যেতে হবে। তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। শহীদ জিয়া আমাদের সে শিক্ষা দিয়েছেন। যারা হতাশ, তারা কখনো জিয়াউর রহমানের অনুসারী হতে পারে না। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আব্দুল মান্নান, ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ। সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, আতাউর রহমান ঢালী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিলকিস জাহান শিরিন, এমরান সালেহ প্রিন্স, খন্দকার মাশুকুর রহমান, কাজী আবুল বাশার, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আব্দুল খালেক, আনোয়ার হোসাইনসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।