পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার শত শত বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীভাঙন রোধে স্বল্প খরচে অল্প সময়ে রাজবাড়ীতে বাঁশের বেড়া প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এতে পরিবর্তন হবে নদীর গতিপথ, কমবে ভাঙন, বাড়বে ফসলী জমি। সরকারের এমন উদ্যোগে খুশি নদী পাড়ের হাজার হাজার পরিবার।
গত বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলায় ১৯টি পয়েন্টে ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয়। এতে শত শত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সবচেয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার সিলিমপুর এলাকা। এই এলাকা দুটিতে ভাঙনরোধে স্বল্প খরচে বাঁশের বেড়া দিয়ে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের কাজ চলছে জোরেশোরে।
বুধবার সকালে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গড়াই নদীতে বাঁশের বেড়া দেয়ার কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। মো. কাইয়ুম ব্যাপারী নামের একজন শ্রমিক বলেন, আমরা এখানে বাঁশের বেড়ার কাজ করছি। প্রতিটি বাঁশ লম্বায় ২৫ ফুট করে রয়েছে। যার ১৩ ফুট মাটির নিচে এবং ১২ ফুট ওপরে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ে এবং ভালোমানের কাজ করার চেষ্টা করছি।
নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর এলাকার বাসিন্দা সরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই বন্যার সময় এই এলাকার প্রচুর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়। এই প্রকল্পটি সঠিকভাবে এবং দ্রুত সময়ে সম্পন্ন হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। এতে জেলার ফসলী জমি বাড়বে।
মো. রতনউজ্জামান নামে অপর এক এলাকাবাসী বলেন, এই প্রকল্পে শুধু ফসলী জমি নয়, রক্ষা পাবে হাজার হাজার বসতবাড়ি ও শহররক্ষা বেড়িবাঁধ। যে কারণে সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এ ব্যাপারে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মতিয়ার রহমান বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন কবলিত এলাকায়ই এমন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এতে নদীর নাব্য বৃদ্ধি পাবে ও ভাঙন কমবে, সেই সাথে বাঁধের অপরপাড়ে পলি ও বালিমাটি পড়ে বাড়বে ফসলি জমি। এতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারবে। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর এলাকায় নদীভাঙন রোধে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বাঁশের বেড়া প্রকল্পটিতে খরচ হবে মাত্র ৭৫ লাখ টাকা। যে কাজটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্তাবধানে দেখভাল করছে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাজটি সম্পন্ন করবে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাওয়াল কনস্ট্রাকশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।