বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ট্র্যাকারের মাধ্যমে এই অভীষ্ট অর্জনের অগ্রগতি তদারকি করা হবে। তথ্য-উপাত্ত পারিসংখ্যানগতভাবে দৃশ্যমান করতে এবং সে অনুযায়ী সীমিত সম্পদের দক্ষ বণ্টন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এই ট্র্যাকার তৈরি করেছে। এটুআই, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়ন ও এসডিজি ট্র্যাকারের ব্যবহার নিশ্চিত করছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো অডিটরিয়ামে এসডিজি ট্র্যাকার বিষয়ক এক কনসালটেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এটুআই ও বিবিএস যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রধান সুদীপ্ত মুখার্জ্জী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন ও এটুআই প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন এটুআই হেড অব রেজাল্টস ম্যানেজমেন্ট ড. রমিজ উদ্দিন এবং বিবিএস উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ সফলভবে বাস্তবায়ন করা গেলে এসডিজির অনেক কিছুই অর্জন হবে। আমাদের দেশের আয় বৈষম্য কমাতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রদূত হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের এই অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সঠিক নীতি নির্ধারণ এবং সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে তথ্যনির্ভর নীতি নির্ধারণে অনলাইন তথ্যভান্ডার নিশ্চিত করাই মূলত এসডিজি ট্র্যাকারের মূল উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথির বক্তবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু গতানুগতিক ও স্বাভাবিক ধারায় চলছে না, বাংলাদেশ চলছে অসম্ভব গতিতে। কাজেই আপনাদেরও সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে, যেন আগামী পাঁচ বছর পর বলতে না হয় কোনো ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হয়নি। কোনো কাজ হাফডান করা যাবে না। পূর্ণাঙ্গরূপে সব কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।