Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৪১ পিএম | আপডেট : ৭:৪২ পিএম, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯

রফতানী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গার্মেন্টস শিল্পকে সরকার পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মালিক-শ্রমিকদেরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি গার্মেন্টস শিল্প এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে তা মালিকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে সরকারের ব্যর্থতা গত কয়েকদিন ধরে ফুটে উঠেছে। বিদেশী কাউকে সুবিধা দিতে এর পেছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে বলেই দেশের জনগণ বিশ্বাস করে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে। বড় বড় পাটের গুদাম ও মিল-কলকারখানা কিভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তা জনগণ এখনও ভুলে যায়নি। এটা কাদের স্বার্থে করা হয়েছিল সেটাও জনগণ জানে। এখন ভুয়া ভোটের সরকার গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। বর্তমান ভুয়া ভোটের সরকার এই শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়ার যে পাঁয়তারা করছে তার পরিণাম শুভ হবে না। যারা অর্থনীতির চালিকা শক্তি তাদের ধ্বংস করে অর্থনীতির বিকাশ সম্ভব নয়। গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন দমাতে হত্যা, লাঠিচার্জে ক্ষত বিক্ষত করা ও ব্যাপক গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে কোন সমাধান আসবে না।

তিনি বলেন, অবিলম্বে দেশের রফতানী আয়ের প্রধান উৎস এই গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষা করতে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মানতে হবে এবং আলোচনার ভিত্তিতে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধুমাত্র অলীক তৃতীয় পক্ষ বা অন্যের হাত আছে এসব বলে সংকটের সমাধান হবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। গত কয়েকদিনেও চালের দাম ফের বেড়েছে কয়েক দফায়। প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। সরকার দলীয় সিন্ডিকেটের লোকেরাই কারসাজি করে এই দাম বৃদ্ধি করেছে। দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর কথা বলে একসময় ভোট চাইলেও বর্তমানে মোটা চালের দামও পঞ্চাশ টাকার নীচে নয়। অন্যান্য চাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রিজভী বলেন, গত রোববার খাদ্য মন্ত্রী বলেছেন-ইজ্জত রক্ষার্থে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখুন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর ইজ্জত রেখেছেন চালের দাম আরও বৃদ্ধি করে। জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলে ইজ্জত ঠিকই থাকতো। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এ্যকশন নেয়ার ক্ষমতা খাদ্যমন্ত্রীর আছে কি না সেটিই বড় প্রশ্ন। কারণ চারিদিকে সরকারী দুর্নীতির জয়জয়কার। গরীব মানুষের পকেট কেটে বিপুল অর্থ লুটে নিচ্ছে সিন্ডিকেট। আর এদিকে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবন-যাপনে বাধ্য করা হচ্ছে। চালের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ক্ষুধার্ত থাকছে। এই চালের মৌসুমেও চালের দরের ঊর্ধ্বগতি সামনের মাসগুলোতে খাদ্য সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৫২ পিএম says : 0
    আমি ব্যাক্তিগত ভাবে বিএনপির এই নেতা মানে রেজভী সাহেবের কোন সংবাদ পড়িনা তবে হেডিং নজর এড়ায় না এটাই সত্য। আজ তার পোষাক শিল্প নিয়ে এতো দরদ তাও আবার মিথ্যা কথা শুনে আমকে তার সংবাদের মন্তব্য করতে আগ্রহী করেছে। গত সরকারের সময়ে (২০০৮ সালের নির্বাচনের পর) সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে মিথ্যা একটা হত্যার ঘটনা সাজিয়েছিল ওয়ার্কাস পার্টির একজন শ্রমিক নেতা আমিন সাহেব। তিনি তার জীবনে কখনো শ্রমিক ছিলেন না তিনি তার ছাত্র জীবনে থেকেই বাম রাজনীতি করতেন বলে শুনা যায়। সেই নেতা একজন সাধারন শ্রমিকে যিনি ব্যাক্তগত কারনে শত্রু দ্বারা নিহত হয়েছিলেন তাঁকে শ্রমিক নেতা বলে চালিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে পুলিশ কর্তৃক হত্যা এই গুজোব আন্তর্জাতিক ভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও তখন ওয়ার্কার পার্টি সরকারের সাথে ছিল কিন্তু কেবিনেটে ছিল না হয়তো সেই কারনেই সরকারকে একহাত দেখার জন্যে আমিন মিয়া একাজটা করে বাংলাদেশের সমূহ ক্ষতি সাধান করেছিলো এটা আমরা ভুলি নাই। আমিন মিয়ার এই কাজের জন্যে আমেরিকার সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায় অদ্যাবদি আমরা আমেরিকার সকল শর্ত মেনে চলার পরও তারা আমাদেরকে সেই সুযোগ দিচ্ছেনা। পোষাক শিল্পের এই করুন অবস্থার সময় বিএনপি বিরোধী দল হবার কারনে এই আমিন মিয়ার কৃতকলাপের প্রতিবাদ করার কথা এই রেজভী গঙদের। কিন্তু সেসময়ে রেজভী গং এর উপর কোন বক্তব্য দেয়নি বরং নীরব থেকে আমিন মিয়াকে সমর্থন দিয়ে দেশে এক অরাজগতা লাগিয়ে এসেছিল এবং আমেরিকার দেয়া সেই সুযোগ বাতীলের জন্যে রাস্তা প্রসন্ন করে ছিল। আজ সেই রেজভী সাহেব এসেছেন মায়া কান্না কাদার জন্যে, এবারো সেই আমিন মিয়া গং তাদের মন্ত্রী না হবার কারনে রাস্তায় নেমেছে তার নিজস্ব শ্রমিক নেতা যারা তার পয়সায় পালিত সেই সব নেতাদের কারখানায় বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে নাজেহাল করার প্রচেষ্টা নিয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস নেত্রী হাসিনা এদের সম্পর্কে এখন সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল কাজেই এখন এনারা সহজেই যা খুশী তাই করতে পারবে না এটাই সত্য। সবচেয়ে বড় সমস্যা গত সরকারের সময় ছিল সেটা হচ্ছে শ্রম দপ্তর নিয়ন্ত্রন করে আসছিল সরকারের সড়িকেরা। কাজেই তারাও আওয়ামী লীগের স্বার্থ দেখেনি নিজেদের সংগঠনকেই শক্তিশালী করে এসেছে এটাই সত্য। এখন শ্রমমন্ত্রী আওয়ামী লীগ থেকেই হয়েছেন কাজেই আমি আশাকরছি এবার পোষাক শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে শ্রমিক লীগের লোকজন শক্তিশালী হবে ইনশ’আল্লাহ। গত মন্ত্রী মুজিবুল মিয়া আওয়ামী লীগের লোকজনদেরকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়নি এর প্রমাণ আমি নিজে। কাজেই এবার যদি আওয়ামী লীগ ভুল করে তাহলে দেশের বিরাট ক্ষতি হবার প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বলা, সত্য বুঝা ও সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ