Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দুরকানীতে শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত শ্রমিকেরা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) থেকে মো ঃ মনিরুজ্জামান খান | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চারিদিকের বাতাসে বইছে কাঁচা মাছ ও শুটকি মাছের গন্ধ। শ্রমিকেরা সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ কাজে। কেউ বস্তা বন্দি করছে শুটকি। আবার কেউ কাঁচা মাছ কেটে কেটে রাখছেন মাচার ওপরে। কেউ আবার মাচায় রাখা মাছ নেড়ে চেড়ে দিচ্ছেন শুকানোর জন্য। এটা দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের শুটকি প্রক্রিয়াকরণের একটি খন্ড চিত্র। এই বন্দরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি মাচায় নিয়মিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হয়। যা চট্টগ্রামে রফতানি করছেন এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এই মাছ চট্টগ্রাম থেকে রফতানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এমনকি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের কয়েক জন ব্যবসায়ী। তারা জানান, আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখানে শুকিয়ে শুটকি করে চট্টগ্রামে পাঠাই। সেখান থেকে বিদেশেও এই মাছ রফতানি করা হয়। শুটকিমাছ হিসেবে সাধারণত ছুরি, ঢেলা, মধু ফ্যাসশা, কাবিলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হয় এখানে। তবে মাছ শুকাতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে শুটকি মাচার নিয়মিত শ্রমিক মো. কাদের, বাদশা, শাহীনসহ অনেকই জানান, পাড়েরহাটে মাছ শুকানোর মত নেই কোন উঁচু ভূমি। নেই ভাল কোন মাচাও। তাই পাড়েরহাট বন্দরের কঁচা নদী সংলগ্ন চরে নিজেরাই কোনভাবে বালি দিয়ে উঁচু করে নিয়েছে কিছু জায়গা। তার উপরেই বাঁশ কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শুটকির মাচা। যেখানে অল্প জোয়ারেই পানি ওঠে যায়। আর সেই মাচার কাছে যাওয়ার মত নেই কোন রাস্তাও। আবার শুটকির মাচা থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাকে শুটকি উঠাতে হয়। তাই জোয়ার এলে চরম বিপাকে পড়তে হয় এই শুটকি ব্যবসায়ীদের। পাড়েরহাটে অনেক শুটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা নিজ উদ্যোগেই ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। তাই সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন এখানকার শুটকি ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন সরকারি সহযোগিতা পেলে বৃহৎ পরিষরে এখানে শুটকি উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে উপকূলীয় এই এলাকার অনেক বেকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তেমনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ