Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দোকান বন্ধ রাখলে লাইসেন্স বাতিল

ভেজালবিরোধী অভিযানে সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, এখন থেকে ভেজালবিরোধী অভিযানে আমরা কঠোর হবো। ভেজালবিরোধী অভিযান ঘোষণা হওয়ার কারণে কোনও প্রতিষ্ঠান বা দোকান যদি বন্ধ রাখা হয়, আমরা যদি তা জানতে পারি, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। গতকার রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সাত মসজিদ রোড এলাকায় খাদ্যে ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযান-২০১৯ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি খাদ্যে ভেজালকারীদের প্রতি এ হুশিয়ারি উচ্ছারণ করেন।
সাঈদ খোকন বরেন, খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে অপরাধীদের জেলে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতিয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো, সেটা প্রতীকী হলেও করবো।
মেয়র বলেন, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা অভিযানে নেমেছে। আমরাও নিয়মিত কাজ অব্যাহত রেখেছি। এরপরেও ভেজাল বন্ধ হয়নি। তাই গতকাল থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন বলে তিনি জানান। এখন কোনো প্রতিষ্ঠানের খাবারে ভেজাল প্রমাণিত হলে তাকে জেলা পঠানো হবে। সেটা অল্প সময়ের জন্য হলেও তাকে জেলে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর্থিক জরিমানাটা খুব বেশি সুফল বয়ে আনছে না। তাই আমরা আস্তে আস্তে আরো কঠোর হতে চাই। খাদ্যের ভেজাল কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। অভিযানে সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সাত মসজিদ রোডের স্টার কাবাবে যায় ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিদর্শন কালে সেখানকার রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের খাবারে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো না। ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। টাইলস ফাটা। এসবের কারণে খাদ্যে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। পরে কোনো অনিয়ম পেলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান ডিএসসিসির কর্মকর্তারা।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Rasaranjan sarker ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:৪২ এএম says : 0
    সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কেন খতিয়ে দেখা হয়না?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ