বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ছয়টি অফিস সহায়ক পদের নিয়োগে প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতনদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
দুদক জানায়, হটলাইনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অভিযোগ পেয়ে বিএসটিআইয়ে দুটি অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা, উপ-সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও মো. আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়। স¤প্রতি বিএসটিআইর অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষার টেবুলেশন শিটে জালিয়াতির মাধ্যমে নম্বর পরিবর্তন করে ছয়জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। টেবুলেশন শিটে নিয়োগ কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী থাকা সত্বেও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ওই নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, এ নিয়োগ নিয়ে শিগগিরই অনুসন্ধান শুরু হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং নিয়োগ বাতিল করারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।