পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অনেক স্টল-প্যালিলিয়নের নির্মাণ কাজ এখোনও শেষ হয়নি। মেলার চারদিন পরেও নির্মাণ কাজের ঠুক-ঠাক শব্দে কান ঝালাপালা করছে বলে অনেক দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, বাণিজ্যমেলা মানে শুধুমাত্র কেনাকাটা করা নয়। এই মেলা কেনা-কাটার সঙ্গে বিনোদন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলন, দেশী ও আন্তর্জাতিক পণ্যের পরিচয়সহ অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সেই মেলার চারদিন পরেও এখনো প্যালিলিয়ন নির্মাণ মেনে নেওয়া যায় না। একই সঙ্গে এবার এমনিতেই ৯দিন দেরিতে মেলা শুরু হয়েছে। তার পরেও কেনো অপ্রস্তুত মেলা প্রাঙ্গণ ও মেলার সাজ-সজ্জার কাজ তা কারোর বোধগম্য নয়।
২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গতকাল শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণসহ মেলার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখানো প্রায় ৪০ শতাংশ অসম্পন্ন। মেলার উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সব দিকেই রয়েছে অসম্পূর্ণ স্টল। ভিআইপি গেট থেকে সার্ভিস গেট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় চলছে স্টল প্রস্তুতের কাজ। দর্শনার্থীদের কানে আসছে কাঠ, হাতুড়ি, পেরেকের ঠক ঠক আওয়াজ। কাজ শেষ না হওয়া এসব স্টলের মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠান যেমন আছে, তেমনি আছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানও। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিংহভাগই ছোট প্রতিষ্ঠান। বড় প্রতিষ্ঠান দুই-একটি অসম্পূর্ণ থাকলেও বেশির ভাগই মেলার প্রথম দিন থেকেই বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে।
মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম দিকে একটু অগ্রসর হলেই চোখে পড়েব থাইল্যান্ড, চীন ও ভারতীয় পণ্যের একটি প্যাভিলিয়ন। সেখানে তিন দেশের পণ্য পাওয়া গেলেও এখনও স্টল গোছানোর কাজ শেষ হয়নি। ওই প্যাভিলিয়নে কর্মকর্তা মো. সাইদুর বলেন, আমরা একটু দেরিতে কাজ শুরু করেছি। সাধারণত মেলার প্রথম দিকে বিক্রি খুব একটা হয় না। তবে আমাদের সব কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই সব স্টলের কাজ শেষ হয়ে যাবে। একটু দক্ষিণ দিকে এগিয়ে দেখা যায়, সারি সারি বেশ কয়েকটি স্টলের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এসব স্টলে দেশি পণ্য প্রদর্শন করা হবে। স্টল প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত এক শ্রমিক খাইরুল বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। মেলায় সব থেকে বেশি অপ্রস্তুত স্টল দেখা গেছে সার্ভিস গেটের পাশে বা পশ্চিম দিকে। ওই অংশে বেশিরভাগ স্টলেরই কাজ শেষ হয়নি। একটি স্টলের মেরামত কাজে ব্যস্ত ফারুক হোসেন বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি মেলা শুরু হওয়ার পরে। আমাদের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে আশা করছি বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুধু ছোট ছোট স্টল নয়, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ও কিছু স্টলের কাজ এখনও শেষ হয়নি। মেলার প্রায় মাঝ বরাবর দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন ভাবে চলছে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নের নির্মাণ কাজ। তবে ওই প্যাভিলিয়নটি কোন প্রতিষ্ঠানের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজে ব্যস্ত একজন বলেন, এটি সম্ভবত মার্ক বাংলাদেশের। নিজের নাম না জানিয়ে তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই প্যাভিলিয়নের সব কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হলে প্যাভিলিয়নটি যে কোনো দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়বে।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ডেপুটি ডিরেক্টর ও মেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, মেলার সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি এটি সত্যিই দু:খের বিষয়। তবে আমরা সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আরও বলেন, বিশে^ও মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের মেলাগুলোর মধ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সবচেয়ে দীর্ঘ সময়। এই মানের মেলা এক মাসব্যাপী বিশে^র অন্য কোথাও হয় বলে মনে হয় না। ফলে এতোবড় মেলার প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এটাকে সমস্যা মনে না করে কিভাবে ভাল করা যায় সেই মনোভাব সবাই থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, এতোমধ্যে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে জমতে শুরু করেছে মেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।