পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া সেই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম ওয়াসীম (২৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পল্লবী থানা পুলিশ মুসলিম বিহারী ক্যাম্প থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৪ নভেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দু’টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এসময় পাঁচজন অফিসার ও দু’জন আনসারসহ ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
অন্যদিকে গতকাল বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মোঃ ওয়াসিম (২৮)। ওয়াসিম বিএনপির রাজৈনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও দলে তার কোনো পদ-পদবি আছে কি-না তা যাচাই করছে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, গত ১৪ নভেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৯০ জনকে আসামি করে পল্টন থানায় তিনটি মামলা হয়। তদন্তকালে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাইসহ প্রকাশ্য- গোপনে তদন্ত করে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীকে শনাক্ত করে আগেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল পল্লবী থানা পুলিশ মুসলিম বিহারী ক্যাম্প থেকে ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আব্দুল বাতেন বলেন, ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হেলমেট পরে গাড়ি ভাংচুর করেছে। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে সেখানে বিএনপির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে৷ এ ঘটনায় বিএনপির বড় কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা বা হুকুমদাতা হিসেবে নিশ্চিত করা গেছে কি-না জানতে চাইলে ডিবির বাতেন বলেন, হামলার ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন। তবে বিএনপির বড় কোনো নেতা জড়িত রয়েছেন কি-না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।