Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অন্ধত্বের ঝুঁকিতে তিনজনে একজন ডায়াবেটিস রোগী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ইন্টারশ্যাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইডিএফ)’র হিসাবে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ডায়াবেটিক রোগীর প্রতি তিনজনে একজন ডায়াবেটিক জনিত অন্ধত্বের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অসচেতনতার অভাবে ডায়াবেটিস আছে এমন লোকজনের মধ্যে অর্ধেকই জানেন না যে তাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে। ফলে প্রতিবছরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়াবেটিক জনিত অন্ধত্ব এবং অনাকাঙ্খিত মৃত্যু।
ডায়াবেটিক সমিতি এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালে যৌথ উদ্যেগে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রেফারেল নেটওয়ার্ক তৈরি’ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গতকাল বক্তারা এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. একে আজাদ খান।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ, সিবিএইচসি’র লাইন প্রতিনিধি এনসিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর নূর মোহাম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এডিজি প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি - বাডাস গোপালগঞ্জ, বগুড়া, নেত্রকোণা ও শেরপুরে ডায়াবেটিস রোগ ও ডায়াবেটিস জনিত চোখের সমস্যা নির্ণয়ে ৪০০ কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, জেলা পর্যায়ে ৪টি ডায়াবেটিস হাসপাতালে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ তৈরিসহ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ৬০টি আউটরিচ ক্যাম্প করা হবে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস জনিত চোখের রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ফালো-আপের জন্য গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বগুড়া স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতাল ও ময়মনসিংহের ডা. কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে রেফার করা হবে।
মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, সা¤প্রতিক সরকারী একটি জরিপে (স্টেপস ২০১৮) দেখা গেছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৭৬ লাখের বেশি মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ ছাড়া আরও কয়েক লাখ শিশু জম্মগতভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ দশমিক ১ মিলিয়ন, যাদের ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত। পাশাপাশি, প্রতিবছর বাংলাদেশে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার নতুন করে ডায়াবেটিকে আক্রান্ত হচ্ছে। অসচেনতার কারণে ডায়াবেটিকে আক্রান্ত শিশুদের কেউ কেউ দৃষ্টিহীন আবার অনেকে ভুগছে চোখের মারাত্বক জটিলতায়।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকই অবগত নন যে তাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে। আরেকটি আশঙ্কার কথা হলো, পাঁচজন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে চারজনেরই বসবাস নিম্ন আয় ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। অসচেতনতা ও প্রচারের অভাবে এখনো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ ব্যক্তিরা চোখের চিকিৎসা করাচ্ছেন না। অথচ ৭০শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্ধ হাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ