Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় মাইক ব্যবসায়ীরা বিপাকে

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আবহমান বাংলার মুসলমানদের মৌসুমী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে ওয়াজ ও তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অন্যতম। প্রতি বছর শীত ও গ্রীষ্ম (শুকনো) মৌসুমে সারা দেশে এ মাহফিলের ব্যাপক আয়োজন হলেও এ বছর খুবই কম মাহফিল দেখা যাচ্ছে। মহফিল কেন্দ্রিক ব্যবসায়িদের এখন দুর্দিন চলছে।

উপমহাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রসার, কুরআন-হাদীসের মর্মবানী মানুষদের বুঝান এবং সে অনুযায়ি জীবন যাপনে উদ্ভুদ্ধ করনে মৌসুমি মাহফিল যুগযুগ ধরে এক বিরাট ভূমিকা রেখে আসছে। দীর্ঘ বছর ধরে পালিত এই মাহফিল বাংলাদেশে ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে। মাদ্রাসা-মসজিদসহ বিভিন্ন সংগঠন শুকনো মৌসুমে বার্ষিক ওয়াজ ও তাফসীর মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। ভাল ওয়ায়েজিনদের কুরআনের তাফসীর শুনে বিপথগামী অনেক মানুষ আলোর পথে ফিরে আসার প্রমান রয়েছে। জানাযায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারনে এবছর মাহফিলের সংখ্যা কমে গেছে। শুকনো মৌসুমের শুরু থেকে নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ায় মাহফিলের উপর তার প্রভাব পরে।
মাহফিল কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে মাইক ও ডেকরেটর প্রধান। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মেলাও বসে থাকে। মাহফিল কেন্দ্রি এসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পল্লীর অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে।

মাইকে মাহফিলের প্রচার এবং ওয়াজে মুখরিত জনপদে এখন যেন নিরাবতা পালন করছে। উপজেলার মিরুখালী বাজারের নাসির মাইক সার্ভিসের মালিক মো. নাসির মৃধা জানান, প্রতি বছর এই সময় মাহফিলে মাইক ভাড়া দিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। বছরের বৃষ্টি মৌসুমের ক্ষতি এ সময়ে মাহফিলের সময় তা পুশিয়ে নিতাম। এবছর মাহফিল কমে যাওয়ায় বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি শোধ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে নাসির জানান।

এদিকে মাহফিলের ওয়াজিনরাও এখন অলস সময় পার করছেন। মঠবাড়িয়া কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন ঢাকার গবেষক বিশিষ্ট মুফাসসীর মাওলানা আবুল বাশার নোমানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে মাহফিল আয়োজক কর্তৃপক্ষ জড়িত ছিল তারপর নির্বাচন পরবর্তী পরাজিত পক্ষের মনবেদনা তারপর সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মাহফিলে প্রভাব ফেলেছে। তবে নির্বাচনের পরে এ অবস্থা থাকবেনা বলে তিনি মনে করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ