Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়

শীতে কাঁপছে সৈয়দপুর

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থানে শীত জেঁকে বসেছে। হঠাৎ ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা না পাওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছিন্নমূল ও দরিদ্রশ্রেণীর মানুষদের। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা সারা নীলফামারী জেলার অভাবী মানুষজন শীত নিবারনের জন্য খড় কুটো জ্বালিয়ে অব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

হিমালয়ের খুব কাছের এলাকা সৈয়দপুর। আর এ কারণে জেঁকে বসেছে শীত। গত শীত মৌসুমের তুলনায় এবারের পুরাতন গরম কাপড়ের মূল্য তুলনামূলক বেশী হওয়ায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে নিম্মআয়ের মানুষ। এরপরও এক বেলা খেয়ে না খেয়েও তারা ক্রয় করছেন শীতবস্ত্র। হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা এ শহরের মানুষ যুবুথুবু হয়ে পড়েছে। রাতের শেষ প্রহরে শিশির পড়ছে বৃষ্টির মতো।

গতকাল সৈয়দপুর শহরের পুরাতন শীত বস্ত্রের বাজারে গরম কাপড় ক্রয় করতে আসা, গ্রাম থেকে আসা এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষীকা মৌরি জানান, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ গরীব ও অসহায়। সরকার পৃথিবীর উন্নত ধনী দেশ থেকে পুরাতন গরম কাপড় আমদানী শুরু করেন এ দেশে। মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণীর মানুষই যাতে কম মূল্যে গরম কাপড় ক্রয় করতে পারে সে জন্য সরকারের ওই মহতি উদ্যোগ। গত বছর যে সোয়েটারের মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সে সোয়েটার বর্তমানে ক্রয় করতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। পুরুষ মানুষের একটি জ্যাকেট বা একটি ভাল সোয়েটারের মূল্য ছিল ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ওই প্রাইমারি শিক্ষীকা বলেন, শীত বেশি পড়ায় শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষের একমাত্র অবলম্বন হল ফুটপাতের পুরাতন শীতবস্ত্র। কিন্তু এবারে তুলনামুলক মূল্য বেশি হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
শহরের মানুষ অভিযোগ করে বলেন, এদেশের রাজনৈতিক কর্ণধাররা ক্ষমতা হাসিলেই ব্যস্ত। মধ্যবিত্ত, নিম্মমধ্যবিত্ত ও সর্বস্তরের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রাপ্তির আশায় গেলেও ক্ষুর্ধাথদের পেটে অন্য ও শীতে কাতর মানুষের পাশে কেউই দাড়ায় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ