Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে লোকসান গুনছে পেঁয়াজ চাষিরা

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে ইসমাইল খন্দকার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সিরাজদিখানে একর প্রতি পেঁয়াজ চারায় কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে অর্ধ লক্ষ টাকা। বিদেশি পেঁয়াজের কারনেই এই লোকসান গুনতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্নহাট বাজারে পেঁয়াজের চারা বীজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশী পেঁয়াজের সব সময় দাম চড়া থাকলেও তিন বছর ধরে বীজ চারাতে লোকসান গুণছে এ অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পেঁয়াজ চাষীরা। ৩৫ শতাংশ জমির চারায় বিক্রেতার লোকসান ঘুনতে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান, তালতলা, শিকারপুর, মরিচা, শেখরনগর, ইমামগঞ্জ, বালুচর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পিয়াজ, মরিচ, বেগুনসহ অন্যান্য চারা বিক্রি করে থাকে। আবার কিছু কৃষক জমি থেকে চারা ক্রয় করে থাকে। বাজারে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কারনে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা দিন দিন কমছে। ৩৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চারা উৎপাদনে সার, পানি, শ্রমিকসহ ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রতি মন চারার দাম পড়ে ১ হাজার থেকে ১১ শত টাকা। এখন বাজারে প্রতি মন চারা বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা, যা বাজার অনুসারে প্রতি মন পিয়াজ চারায় ৪শ থেকে ৫ শত টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষককে।

সিরাজদিখান বাজারের বিক্রেতা শিকারপুর গ্রামের গুরু দাষ মন্ডল (৭২) বলেন, ৫০ বছর ধরে কৃষি কাজের সাথে আছি। আমি পেঁয়াজ চারা বিক্রি করি ও নিজেও রোপন করি। আমি ১৫ বছর ধরে লাভের মুখ দেখছিনা। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাথে থাকায় ছারতে পারছিনা। তিনি আরো বলেন, পাশের দেশ ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আসায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। গত বছরে ২০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
লতব্দী ইউনিয়নের ক্রেতা হাজী আব্দুল ওহাব (৬৫) জানান, আলুচাষের পরিবর্তে এবছর পিয়াজ চাষ করছি। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম কমেছে। এবছর আমি ৭০ শতাংশ জমিতে পিয়াজ চারা লাগাব, তাই চারা কিনেছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,্ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে এবছর ৫০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় এবছর ১৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ করা হয়েছে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান বলেন, আধুনিক জাতের বিএডিসি উন্নত মানের অধিক পরিমাণ ফলন দেয় বারি ৩/৪ পিয়াজের বীজ। যা ফললের পরিমাণ আরো বারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ