পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কোন অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের (নতুন মন্ত্রিসভার) কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ওপরে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করা। এজন্য যে, এটা কখনো জনগণ অনুমোদন করেনি, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল নতুন সরকারের মন্ত্রিসভাকে প্রত্যাখান করে বলেন, যে নির্বাচনের ফলাফল আমরা প্রত্যাখান করেছি, যে নির্বাচনে সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ পুরোপুরিভাবে এটাকে বর্জন করেছে বলা যেতে পারে, জনগণ এই নির্বাচনের ফলাফল কখনো মেনে নেয়নি। সেই নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে সংসদ গঠন বা সরকার গঠন-এটা নিয়ে মন্তব্য করা তো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছি, সংসদ গঠন প্রত্যাখান করেছি এবং সরকার গঠন পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখান করেছি।
২০১৪ সালেও একই প্রেক্ষাপট ছিলো, তারপরেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিলো- এরকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দখলদারি বলে একটা কথা আছে। পাকিস্তান কি দখল করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেনি, তারা থাকে নাই, পাকিস্তান থাকেছে তো। দেশ-বিদেশ তাঁকিয়ে দেখেন? জনগণের সাথে সম্পর্ক নেই অথচ সরকার আছে। সরকার তো থাকেই একটা কিছু না কিছু থাকতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার (২০১৪ সালের নির্বাচন) সঙ্গে এটাকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) মিলিয়ে লাভ নেই। আপনি এটা চিন্তা করেন না কেনো গোটা জাতি ডিপরাইভ (বঞ্চিত) হয়ে গেছে। একবারও ভাবেন না যে, গোটা ব জাতির সাথে এরা (ক্ষমতাসীনরা) প্রতারণা করলো। একবারও মনে মনে আপনাদের আবেগ আসে না। যে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি যে চেতনার ভিত্তিতে, সেই চেতনাকে আপনি ধুলিসাত করে দিয়ে মাত্র কিছু লোকের দখলদারিত্বে জন্যে।
বিএনপি এখন কী করবেন জানতে চাইলে দলটির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি এখন যা করার তাই করবে। বিএনপি জনগণের দল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবে গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য, জনগণের সরকারের জন্য।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কায়সার কামাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ান্থ, হাফিজ ইব্রাহিম, শাহ নুরুল কবির শাহিন, রাশেদা বেগম হীরা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনের পর দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে গতকালই প্রথম বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব। এই বৈঠকে নেতাকর্মীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে টেলিভিশন টকশোতে নেতাকর্মীদের অংশ নেয়া, অংশ নিলে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এবং বিএনপি ও জিয়া পরিবার নিয়ে সেব টেলিভিশন অপপ্রচার চালায় সেসব টেলিভিশনের টকশতে অংশ না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এজন্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সমন্বয়কারী করা হয়েছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।