Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিএসসিসি’র তামাকমুক্ত মডেল ওয়ার্ড গঠনে প্রতিশ্রুতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট বরাদ্দ ও তামাকমুক্ত মডেল ওয়ার্ড গঠনে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মোস্তাফিজুর রহমান।

গতকাল সোমবার সকালে ডিএসসিসি’র নগরভবন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সেমিনার কক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা প্রনয়ণ অন্যতম। ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগিডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহ্উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। সভাটি আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তাসহ কাউন্সিলরগণ ও বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দীর্ঘদিন যাবত অন্যান্য সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পাশাপশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু এবং রোগের অন্যতম প্রধান ও প্রতিরোধ যোগ্য কারণ হল তামাকের ব্যবহার। টোব্যাকো এটলাস, ২০১৮ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় এক লাখ ৬০ হাজার ২০০ জন। সারা বিশ্বে সমন্বিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে এফসিটিসি চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এই চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করে ও পরে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত জিএটিএস- ২০১৭ অনুসারে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪৩শতাংশ মানুষ। এছাড়াও পাবলিক পরিবহনে (৪৪ শতাংশ), সরকারী প্রতিষ্ঠানে ও ভবনে (২১ দশমিক ৬শতাংশ) এবং রেস্তোঁরায় (৪৯ দশমকি ৭শতাংশ) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিদ্যমান আইনে সকল পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএসসিসি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ