বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল বারেক (৪০) নামের সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুক্তারপুর-নলডাঙ্গা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, নিহত বারেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রয়েছে।
বারেকের বাড়ি উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ায়। বাবার নাম আব্দুল গণি। বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশের সদস্যরা হলেন দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার, এসআই রাম প্রসাদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা, কনস্টেবল নাহিদ হোসেন ও ফজলে রাব্বী। বারেকের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে পুলিশের আহত সদস্যদের।
দামুড়হুদা মডেল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) এএসআই রওশন আলীর ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাতে একদল মাদক পাচারকারী মুক্তারপুর-নলডাঙ্গা মাঠে অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। রাত একটার দিকে পুলিশ অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক পাচারকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক পাচারকারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী বারেককে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের আহত সদস্যদেরও উদ্ধার করা হয়। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বারেককে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পুলিশের আহত সদস্যদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এএসআই রওশন আলী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, দুটি গুলি, দুটি রামদা ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।