রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত বাড়ৈবাড়ি থেকে পশ্চিম কানুদাসকাঠি সড়কটি ঠিকাদারের অনিয়মের কারনে সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে। বছর খানেক ধরে অবহেলায় পড়ে থাকাতে বর্তমানে সড়কটি চলাচলে সাধারন জনগন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
নানা কারণে ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই উপজেলাটি অনেকটা স্বাবলম্বী হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ঠিকাদারের অবহেলার বেহাল। তার অন্যতম সড়কটি থেকে আমুয়া, কাঠালিয়া ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, রাজাপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, ঢাকাসহ ১৭ রুটে পরিবহন চলে। এই সড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের অধিকাংশ বাড়ৈ বাড়ি ২৬ কিমি অংশ হতে কানুদাসকাঠি ৪৪ পার্টে চলমান উন্নয়ন কাজ চললেও চলছে রাস্তার প্রশস্তকরনের কাজ। রাস্তার বালি দেয়া হয়েছে অনিয়মতান্ত্রিক, রাস্তা খোড়াখুড়ি করেছে, রাস্তায় বালি দিয়ে লেবেল করছে, মাঝে-চোরা গর্ত আছে। রাস্তার গাছ কাটা হচ্ছে না, রাস্তায় নিয়মিত পানি দেয়ার সিডিউল থাকলেও রাস্তায় পানি দেয়া হয় না অধিকাংশ স্থানে। গাড়ির সাথে সাথে বালু ওড়তে থাকে। সেজে গুজে রাস্তায় চলাচলে গোসল করে ঘরে ফিরতে হয়, সাধারন মানুষ তথা শিশু, নারী, বৃদ্ধ পুরুষের হয় চরম অবস্থা, ফলে সাধারণ জনগণকে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া রাস্তা এতো ধুলোবালি ওড়তে থাকে অনবরত। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ দুরপাল্লাার গাড়ি, বাস, ট্রাক, টেম্পু, রিক্সা, এলাকায় যাতায়াত করে। বর্তমানে রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়েছে যে চলাচলে জনগনের রাস্তায় নামতে চাচ্ছে না। সড়কটির এমন অবস্থা মানুষের যেন কষ্টের শেষ নেই। এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ঘটনা। পিংরী স্কুল থেকে বাঘড়ি প্রাইমারি স্কুল, হতে বাঘড়ি বাজার, মেডিকেল মোড়, বাইপাস মোড়, বলাইবাড়ি, মিলবাড়ি, সমবায়, পাকাপোল বাজার, গালুয়া বাজার, নলবুনিয়া বাজার, কানুদাকাঠি, নলবুনিয়া বাজার, হাজি বাড়ি, কানুদাসকাঠি মাদরাসাসহ বিভিন্ন বাজার রাস্তার ওপর ১৮ কিলোমিটার রাস্তায় ঠিকাদার বালির সাথে সামান্য খোয়া মিলিয়ে রাস্তাটি আরো ধুলাযুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে একটি গাড়ি গেলেই বালু উড়তে থাকে। ফলে পথচারীদের কষ্টের সীমা থাকেন না।
জানা যায়, রাস্তাটি অবস্থা এতই খারাপ যে চলাচলে পথচারীর শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার অবস্থা। বর্তমানে রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়েছে যেন ধূলা আর ধূলা। সড়কটির এমন অবস্থা মানুষের যেন কষ্টের শেষ নেই। এই রাস্তাটি পানি ব্যবহার করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারন এই রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ন একটি সড়ক।
অপর দিকে রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবর বলেন, এটা আমার এখতিয়ারের বাইরে, কাজ ফেলাইয়া রাখছে, রাস্তা নিয়ে তিনি বলেন, কাজের মানও খারাপ, রাস্তায় পানি দেয়ার নিয়ম, তা মানা হচ্ছে না, বালু খোয়া মান খারাপ, রাস্তার প্রসারতার ক্ষেত্রে গাছ কেটে রাস্তা সোজা করবে, তাও করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সওজ সহকারি প্রকৌশল নাবিল হোসেনকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী বলেন, রাস্তার ২০ ফুট প্রশস্তকরণে কাজ চলছে। আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা ছোট চাকরি করি, যার কারণে স্থানীয়রা আমাকে অবিহিত করলে আমি উক্ত নিম্মমানের বালু এবং পাথর যুক্ত না দেয়ার জন্য বলি। কিন্তু তারা আমাদের কথা কোন ধরনের কর্ণপাত করছে না।
এদিকে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার কারার জন্য উর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারন জনগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।