বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদীতে ডায়রিয়ার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু। পাতলা পায়খানা, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, জ্বর ও বমি মাথা ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছে এসব রোগীরা। গত মাসে শুধু নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিয়েছে ৮১৭ জন রোগী। এর মধ্যে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ২৩৪ জন।
জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ও প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন ডায়রিয়া রোগী। এছাড়াা বেসরকারি ডাক্তারদের চেম্বারে প্রাত্যহিক রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ রোগী হচ্ছে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত রোগী। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে শিশু। ৬/৭ মাস বয়স থেকে ৬/৭ বছর বয়সী শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়। মহিলাদের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিম্নআয়ের পরিবারের মেয়েরা। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে বয়োবৃদ্ধরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল কমবেশি ১০ জন মহিলা ও শিশু।
এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠান্ডা জনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে যারা চিকিৎসা নিতে আসছে তারা যেমন ওষুধ খেয়ে ভালো হচ্ছে তেমনি যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে, তার ও শতভাগ ভালো হয়ে বাড়ি ফিরছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সদর হাসপাতালে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মহসিন উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, শীতকালীন ডায়রিয়ার চিকিৎসা খুবই সাধারণ। কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ছাড়াাই ভালো হয়ে যায়। শুধুমাত্র স্যালাইন এবং জিংক জাতীয় ওষুধ সেবন করলে শিশুরা খুব দ্রæত আরোগ্য লাভ করে। তিনি বলেন অনেক সময় কলেরা হয়ে যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত পাতলা পায়খানা হলে বুঝতে হবে সেটা কলেরা হয়ে থাকতে পারে। এই অবস্থায় শিশুকে খুব তাড়াাতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
নরসিংদী শহরে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসারত বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, তার চেম্বারে আগত রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগই ডায়রিয়া রোগী। তবে এটা কোন অ্যালার্মিং নয়। শিশুর আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। পাতলা পায়খানা শুরু হবার সাথে সাথে মা-বাবারা যদি শিশুকে স্যালাইন খাওয়ানো অব্যহত রাখে তবে সাত দিনের মধ্যেই কিছু ভালো হয়ে যাবে। ব্যতিক্রম অবস্থা দেখা দিলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দিলেই ভালো হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা: মো. হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান শীতকালের ডায়রিয়া খুব একটা জটিল কিছু নয়। ঠান্ডাজনিত কারণে এ ধরনের ডায়রিয়া দেখা দেয়। সাধারণ চিকিৎসা থে ভালো হয়ে যায়। নরসিংদী সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতিতে উদ্বেগের কিছু নেই। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।