পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলনবিলের ‘আমাদের মজার স্কুল› একটি স্বেচ্ছাসেবী স্কুল। চলনবিলের সিংড়া পৌর এলাকার স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে চলে আমাদের মজার স্কুলের পাঠদান। ২০১৭সালের ৬জানুয়ারি গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে আনন্দ বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে স্কুলটি। দুঃখের বিষয় বই উৎসবে, বই পায়নি স্কুলটি। মাত্র ৩০জন শিশু শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্কুলটি বর্তমানে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ১৫০জন।
শিশুদের নীতি-নৈতিকতা, আচার আচরণ সহ মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার জন্য তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুলটি। ধনী-গরিবসহ সবাই সারিবন্ধ ভাবে বসে শিক্ষা নেয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। স্কুলের নির্দিষ্ট কোন জায়গা-জমি নেই। সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় স্মৃতিসৌধ মাঠে চলে পাঠদান। এখানে শিশুদের বাধাধরা কোন সিলেবাস বা চাপ দিয়ে শিক্ষাকে গুছিয়ে দেয়া হয় না। কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আনন্দ বিনোদনের মধ্য শেখানো হয় মজার মজার গল্প,বর্ণমালা ও অভিনয়ের মাধ্যমে ছড়া বলা। নৈতিক গল্পের মাধ্যমে নৈতিকতা, বাবা-মা গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, দেশপ্রেমসহ ভাল ভালো অভ্যাস শেখানো হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার উপকরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি প্রজেক্টরসহ খেলাধুলার সামগ্রী দিয়েছেন, এতে করে শিশুদের বিনোদনের চাহিদা পূরণ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংড়া পৌরসভার স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মজার স্কুলে শিশুদের পাঠদান চলছে। সবার মাঝে আনন্দ একসাথে এতগুলো শিক্ষার্থীকে পেয়ে খুশি তারা। ধনী-গরীব এখানে কোন ভেদাভেদ নাই সব শিশুরা এক কাতারে বসে পাঠদান করছেন। শিশুদের মায়েরা দূর থেকে শিশুদের কার্যক্রম দেখছেন তারা নিজ নিজ শিশুদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। তাদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসমাউল হুসনা, লতা, আকতার বানু নদী, লিরা জামানসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রি-প্রাইমারি হিসেবে মজার স্কুল থেকে তাদের শিশুরা মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছে। যা একেবারে নতুনত্ব, তরুণদের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ক্লাসে আসার জন্য শিশুদের আগ্রহ রয়েছে। একদিন ক্লাসে তাদের না আনলে মন খারাপ করে কান্না করে। এখান থেকে শিখে বাড়িতে গিয়ে তারা চর্চা করে, যেটা অনুপ্রেরণা দেয়। শিশুদের আগ্রহেই প্রতি সপ্তাহে তাদের মজার স্কুলে নিয়ে আসতে হয়। ১৬জন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক নিয়ে চলছে ‹আমাদের মজার স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম।
মজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল আহমেদ জানান, আমাদের মজার স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিনোদন ও খেলাধুলার উপকরণ সামগ্রী দিয়েছেন। স্কুলটি নিয়মিত করার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, শিল্পকলা একািেমর পরিত্যক্ত ঘরে ইতিমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করা হয়েছে।
২০১৭সালের ৬জানুয়ারি গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে আনন্দ বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে স্কুলটি।স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বাজার থেকে শিশু শিক্ষা ধারাপাত বই কিনে এনে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। দুঃখের বিষয় বই উৎসবে, বই পাইনি স্কুলটি।
ইতিপূর্বে স্থানীয় শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এবিষয়ে স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিসে না থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।