Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত,হামলাকারীসহ দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি, আটক ১০

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক অফিস | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:৫০ পিএম

লক্ষ্মীপুরের আটিয়াতলী এলাকায় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করছে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবক। পরে কিছুক্ষন পর দেলোয়ার হোসেনকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পুলিশকে খবর দেয় ফজলুর রহমানের লোকজন। আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার ওই এলাকার ঠাকুর বাড়ির নতুন মসজিদের সামনে পূর্বশক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একইদিন দুপুরে হাসপাতালে ফজলুর রহমানকে দেখতে আসে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করে তারা। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সদর থানার এসআই আবদুল আলীম,এএসআই গিয়াস উদ্দিন,পুলিশ সদস্য নয়ন ও মেহেদী হাসানসহ ৪ পুলিশ ,সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান,রুপম হাওলাদার ও ইকবাল হোসেন হিমলক্বারীসহ ১০ যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসপাতাল, পুলিশ ও যুবলীগ সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় কয়েক দিন আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন। আজ বুধবার সকালে সে একটি চোরা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের ওপর হামলা চালায় দেলোয়ার হোসেন। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে যান। এসময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এসময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।
পরে হাসপাতালে পুলিশ ও শহরে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা (পশ্চিম) যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, সদর পূর্ব যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রুপম হাওলাদার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইকবাল হোসেন হিমলক্বারী,যুবরীগ নেতা আজগর হোসেন,মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ উল্যাহসহ ১০জনকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ টি মটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমিসহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়। সামান্য ভূল বুঝাবুঝিতে নেতাকর্মীদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতায় আওয়ামীলীগ নেতার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন। দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে পাল্টা হামলার স্বীকার হয় পুলিশ। এতে ৪ পুলিশ আহত হয়। হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্নস স্থানে অভিযোন চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে হাসপাতাল ও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ