বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রপ্তানিমুখী স্পিনিং মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আগুনে তুলা, সুতা, ম্যাশিনারীজসহ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, কোন প্রকার হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাতরার চক এলাকার নান্নু স্পিনিং মিলে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নান্নু স্পিনিং মিলে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। রোববার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে মিলের এক পাশে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে তুলা ও সুতায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এসময় মিলে থাকা কর্মরত শ্রমিকরা মিলের ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোয়া ১০০ থেকে ২০০ ফুট ওপরে উঠে যায়। এসময় আশ-পাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা, ডেমড়া, হাজীগঞ্জ, কাঞ্চন ও নারায়নগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় ৫ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নি অফিসার আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামসহ সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগুনে মিলের তুলা, সুতা, ম্যাশিনারীজসহ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে মিলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমান টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষ জানানে পারেনি।
এদিকে, আগুন লাগার সুযোগে একটি চোর চক্র মিলের ভেতরে ঢুকে লুটপাট শুরু করে বলে অভিযোগ করেন মিল কর্তৃপক্ষ। এতে বাঁধা দিলে মিলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিল্কি চাকমার উপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে মিলের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে ওই চক্রটি। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
মিলের নির্বাহী কর্মকর্তা শিপলু জানান, মিলের কিছু অংশ চালু ছিলো। তারা নির্বাচনী কাজে ছিলেন। হঠাৎ করে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছেনা। তবে, সময় মতো শ্রমিক-কর্মচারীদের মিল থেকে বের হওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, সর্ব প্রথম তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌছান। সময় মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা না করলে আশ-পাশের মিল কারখানায় আগুন ছড়িয়ে আরো বড় ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতো। তবে, আগুনের সুত্র কিভাবে হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।