বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবারের নির্বাচনের কমন কথা হল ব্যালট নেই পরে আসেন। সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে গেলে কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ ভোট কর্মী এবং পোলিং অফিসাররা বলে দিচ্ছেন ব্যালট নেই। বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন ও অন্যান্য প্রার্থীরা জানিয়েছে, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে দশটার পর কেন্দ্র দখল করে সিল মারতো আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসব কেন্দ্র দখল সিল মারামারি ফটোগ্রাফ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যবহৃত হয় আওয়ামী লীগ সরকার বিব্রত অবস্থায় পতিত হয়। ভোটকেন্দ্রের এসব অনিয়মের ভিডিও বিদেশীরা দেখে সরকারের সমালোচনা করেছে। এবারে নির্বাচনে সেই পুরনো পথে কেন্দ্র দখল না করে, প্রকাশ্যে সিল মারামারি না করে কাজটি আগের রাতেই করে ফেলেছে। কোন কেন্দ্রে ৫০ ভাগ কোন কেন্দ্রে ৭৫ ভাগ আবার সুবিধাজনক কেন্দ্রগুলোতে ১০০ ভাগ সিল মেরে দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগ কর্মীরা ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় সিল মারা মারির কাজ শেষ করে ফেলে। পুরো পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটের দিন সকাল ৮ টায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভুয়া ভোটার সাজিয়ে কয়েকটি লাইন দখল করে রাখে। তা এসব ভুয়া ভোটারদেরকে কেন্দ্রে ভিতরে নিয়ে দু›একটি করে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট দেয়ার মহড়া দেয়। এরপর সকাল দশটা পর্যন্ত যত ভোটার ভোট দিতে গিয়েছে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে ব্যালট পেপার নেই। ব্যালট নেই কথা শুনে সাধারণ ভোটাররা মন খারাপ করে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ভোটার ব্যালট পেপার নাই কেন জিজ্ঞেস করলে অবস্থা বুঝে পোলিং অফিসার দু-একটা ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে তাদের কে দিয়ে শান্ত করেছে। দশটার পর থেকে সারাদিন ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা। কৌতুহলী হয়ে দু’একজন যারা ভোট দিতে গিয়েছে তার আগে দেখেছে আওয়ামী লীগ কর্মী এবং পোলিং অফিসাররা পোলাও বিরিয়ানি খাওয়া দাওয়া করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।