রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে পরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গণসংযোগসহ প্রচার-প্রচারনা চালালেও পুলিশী গ্রেফতার ভয়ে যোগ দিতে পারছেন না উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, পুলিশি গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতাকর্মীরা অসাহায় হয়ে পড়েছেন। গ্রেফতার আতংকে নেতা কর্মীরা ব্যবসা বানিজ্যতো দুরের কথা ঘরেই থাকাতে পারছেনা। ফলে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মাঠে প্রচার-প্রচারনা চালাতে পারছেনা নেতা-কর্মীরা। ফলে অনেক নেকাকর্মীকে যাযাবরের ন্যায় জীবন যাপন করতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন অলি-গলি মাঠ ময়দান আ.লীগ, জাতীয় পাটি, ইসলামী আন্দোলন, জাকের পার্টিসহ, সিপিবির প্রার্থীদের সমর্থক ও নেতাকমীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় মাঠ চষে বেড়াতে দেখা গেলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন কোন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালাতে দেখা যাচ্ছেনা। সব দলের পোস্টার ব্যনারে উপজেলার সর্বত্র ছেয়ে গেলেও বিএনপির নাম মাত্র পোস্টার ব্যানার দেখা মিলছে।
পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানির ব্যপারে বিএনপি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, প্রতিদিন দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। দু’দুবার আমার গাড়ি বহরে হামলা করেছে মহাজোটের লোকজন। পুলিশি ভয়ে ইতোমধ্যেই দুই উপজেলা অনেক বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের বাইরে চলে গেছে। এমনকি নাটকীয়ভাবে সরকার দলীয় প্রার্থীর বাড়ি ও ক্যাম্পে হামলা, আ.লীগের প্রচারনায় বাধা সৃষ্টির সাজানো মামলাও করা হয়েছে আমাদের নেতা কর্মীদের নামে। পুরোপুরিই আমাদেরকে নির্বাচনী মাঠে না থাকার অপকৌশল হিসেবে নিয়েছে সরকারি দল। এছাড়া মহাজোটের নেতা কর্মীরা রাতের অন্ধকারে পুলিশের সাথে থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়িঘর চিহিৃত করে গ্রেফতার অভিযানে সহযোগীতা করছে। কোনো নেতাকর্মীর নির্বাচনী প্রচারের কাজে এলাকায় অংশ নিতে পারছেনা, পুলিশি গ্রেফতার ও মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করার ব্যপারে আমাদের তরফ থেকে শ্রীনগর সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা গ্রহন করা হয়নি।
বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধারন ভোটাররা বলেন, পুলিশি হয়রানী, ও গ্রেফতারের কারনে সাধারন ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারন জনগণ অনেকেই মনে করছেন বিএনপিকে প্রচার-প্রচারণা থেকে দূর রাখতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি তল্লাসী চালিয়ে হয়রানি করার ফলে বিএনপির জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গেছে। পুলিশি গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা কর্মীরা ঘরছাড়া হলেও নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি হলে জনগণ নিরবে ঘটাবে ধানের শীষের বিস্ফোরন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।